Monday, November 23, 2015

বাংলাদেশের রাজনীতি ও গনত্রন্তের অবস্থান (এক)

মোঃ সাইদুর রহমান
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদের পর থেকে বাংলাদের রাজনীতি এবং গনত্রন্ত অনেকটা কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে আসছে। কখন গনত্রান্তিক উপায়ে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে আবার কখন সামরিক শাসকের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে নেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে যে লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলার সাহসী সন্তানেরা নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে সেই লক্ষ বা উদ্দেশ্য অর্জন হয় নাই বরং রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতাকে দখন করে নিয়েছিল সামরিক শাসকগুষ্টি।
বলা যায় বাংলাদেশের গনত্রন্তের যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ২৪ বছর আগে অর্থাৎ ৯০ পর থেকে এবং সেই সময় থেকে বাংলাদেশে কিছুটা গনত্রন্ত চর্চা চলছিলবাংলাদেশের প্রধান দুইটি রাজনীতিক দলগুলো গনত্রান্তিক ভাবে যেটাকে Formal Democracy  বলে অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে একটা নির্বাচন হবে এবং এই নির্বাচনে যে বিজয়ী হয়ে তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা হাচ্ছে যে, সামরিক শাসকরা যে ভাবে ক্ষমতা গ্রহন করে রাজনীতি করেছিল টিক সেই ধরনের একটা রাজনীতি আবার ফিরে আসছে বর্তমান সময়ের রাজনীতিতেসামরিক শাসকদের রাজনীতিতে কিছু নমুনা ছিল কিন্তু এখন সেই নমুনা গুলো আবার ফিরে আসছে। সামরিক শাসকদের রাজনীতির সাথে বর্তমান সরকারের রাজনীতি যে কতটা মিল রয়েছে তা এখানে সংক্কসেপে কয়েকটি নমুনা  তুলে ধরার চেষ্টা করব।
সামরিক শাসকরা সবসময় তাদের নিজের ইচ্ছা মত একটা বিরোধী দল বানিয়ে রাখত ।সেই বিরোধী দল যাথে সব সময় তাদের কথা শুনে এবং তাদের নির্দেশ আনুসারে তাদের রাজনীতি পরিচালনা করে  এরশাদের সময় আমরা দেখছি যেখনে কয়েকটি পালিত বিরোধী দল ছিল টিক একই ভাবে  সরকার রওশন এরশাদের নেত্রীতে সংসদের একটি বিরোধী দল রয়েছে যারা সরকারের আদেশ এবং নির্দেশ অনুযায়ী তাদের রাজনীতি পরিচালনা করছেসরকার ইচ্ছে করে সামরিক শাসকদের মত একটা বিরোধী দল বানিয়ে রেখেছে কারন সংসদে নিয়ম রাখতে গিয়ে একটি বিরোধী দলের প্রয়োজন হয়।
সামরিক শাসকরা তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের নিজেরদের মত করে কিছু দল তৈরি করে রাখত যাথে করে সামরিক শাসকরা সে এই সমস্থ দল গুলোকে নিয়ত্রন করতে পারত কিন্তু বর্তমান সময় আমরা দেখলাম যে আওয়ামীলীগ সরকার “বি অ্যান আফ” মত কিছু দল তৈরি করেছিল। তাহলে এখনে কিন্তু সামরিক সরকারের সাথে বর্তমান সরকারের একটি মিল পাওয়া যায়।
পৃথিবীর সব সামরিক শাসকরা ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম যে কাজটি করে সে টি হল বিরোধী দলের নেতাকর্মী বা বিরোধী মতের নেতাকর্মীকে দমন নিদন করতে ভুল করে না । কারন সামরিক শাসকরা ক্ষমতা গ্রহন করে বিরোধী দলকে দমন করতে না পারলে তার নিজের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবে নাসেটা মিশর কিংবা সিরিয়া এমনকি বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস দেখলে আমার মনে হয় বোজতে ভুল হবে না। বর্তমান সরকার ও কিন্তু সেই পথে অনুসরণ করে চলছে বলে আমার মনে হয়বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার সরকারের প্রধান বিরোধী মত যাদের নিয়ে সরকারের ভয়ের কোন কমতি ছিল না সেই জামাতের প্রথম শারীর নেতাদেরকে যুদ্দ অপরাদের অভিযোগ এনে দীর্ঘদিন থেকে জেলে বন্ধী করে রাখা হয়েছে এবং সেই সাথে কয়েক জনের ফাসি কার্যকর করা হয়েছে সেই সাথে প্রধান বিরোধী দলের প্রথম শারীর প্রায় সব নেতাদেরকে মামলা দিয়ে জেলে বন্ধী করে  রাখা হয়েছে অনেক নেতা কর্মীকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে আবার অনেকেকে নামধারী বন্ধুক যুদ্দেত মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।  
সামরিক শাসকদের মত সরকার আইন শৃঙ্গলা বাহিনীকে তার অস্তিত রক্ষা করতে ব্যবহার করছে।   বিচার বিভাগে সরকার ইচ্ছেমত নিজের অনুসারীদেরকে বসিয়ে সরকারের আদেশ বাস্তবায়ন বিভাগে পরিনত করেছে। যার জন্য বিচার বিভাগ থেকে জনগন আস্তা হারিয়ে ফেলেছে। এই জন্য ছেলেকে হত্যা করার পর ও পিতা খুনিদের বিচার চায় না সরকারের সাজানো বিচারকদের কাছে।
সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করার পর তাদের বিপক্ষের সংবাদ মাধ্যম গুলোকে বন্ধ করে দিত যাথে করে সংবাদ মাধ্যম গুলো তাদের সমালোচনা বা বাদের বিপক্ষে কোন সংবদ প্রকাশিত করতে না  পারে এবং তাদের পছন্দের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম রাখত যে সংবাদ মাধ্যম গুলো তাদের নির্দেশ অনুযায়ী সংবাদ প্রকাশিত করতে পারে। বর্তমান সরকার ও কিন্তু টিক সেই পথ অনুসরণ করছে সেই সাথে আমরা দেখছি বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে “ দৈনিক আমার দেশ” বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেই সাথে পত্রিকার সংপাদকে মামালা দিয়ে জেলে বন্ধী করে রাখা হয়েছে। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাথে সাথে দিগিন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সামরিক শাসকরা ক্ষমতাকে কেন্দ্রীবভন করে রাখত যাতে করে তার ক্ষমতাকে সে নিজের হাতের ভিতরে বন্ধী করে রাখতে পারে। বর্তমান একই ভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রীবভন চলছে। ক্ষমতার এই কেন্দ্রীবভন যে শুধু মাত্র বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার সময় চলছে তা বললে হয়ত ভুল হবে সেটা বি অ্যান পি সরকার সময় কিন্তু ছিল। এই ক্ষমতা কেন্দ্রীবভন এর মাধ্যমে দেশের সম্পদ বণ্টন করা হচ্ছে।  নিজের দলের নেতা কর্মীকে খুশি করতে গিয়ে তাদের মধ্যে খাল,বিল, রাস্তা নির্মাণ, ব্রিজ নির্মাণের কাজ বণ্টন করে দেওয়া হচ্ছে।

এই কতগুলো দিক থেকে আমার মহে হচ্ছিল যে- ৯০ পর থেকে আমরা যে একটা গনত্রন্তের পথে  হাঁটছিলাম সামরিক শাসকদের পরাজিত করে কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে আমরা কি আবার ৯০ সালের আগের দিকে চলে যাচ্ছি সেটা কিন্তু এখন ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

Saturday, January 17, 2015

Quran is NOT the book of history or story but it’s the book of guidance

Though Muslims day and night swear that “Quran is the word of Almighty God, we should follow the teachings of Quran into our life, we should rule by Quran” - but when it comes to seeking guidance then first thing people do is set aside Quran and look at other sources.
Remember: Though quran contains science, history, mathematics, logic etc - its MAIN purpose is guidance of mankind. When it tells you events of past prophet and past community then it is not for only for information but it is for giving guidance. When Quran tells the crime of past community then you should not think that - "Ok! This was the crime of past community. thats it!!". No No! This incidence is mentioned in quran to warn you, so that you don’t commit error committed by past community, you should take guidance from these events. So the purpose of revelation for Quran is to get guidance and then rule your life by that.

" The month of Ramadhan in which was revealed the Quran, a guidance for the people and clear proofs of guidance and criterion ……." [Quran, Surah Baqrah 2: 185]

Please mark the purpose of Quran.
It is for whole mankind. Quran is not exclusive property of any particular sect, religion, group of race.
Quran contains clear proofs. The proofs given by Quran are self explanatory.
Quran is for guidance purpose. We MUST seek guidance from Quran.

Quran is the criterion – it means in any matter Quran will have the last say; what is right and what is wrong.

Saturday, October 25, 2014

কোরাআন আমাদেরকে কিভাবে একথা হতে বলে।

আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।'' (আলে ইমরান ১০৩)

আজকে আমি আপনাদের কাছে খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়াত পরিবেশন করতে যাচ্ছি। এটি সূরা আল- ইমরান এর ১০৩ তম আয়াত। এটি থেকে কিছু শিক্ষা আমাদের জন্য, ইনশাল্লাহ যা আপনি এবং আমি উভয়ই হৃদয়ে ধারন করতে পারি, এবং এর আলোকে নিজেদের আলকিত করতে পারি। আল্লাহ বলেনঃ ওয়াতাআসিমু বিহাব্লিল্লাহি জামিয়ান। ওয়াতাসিমু শব্দতি আরবিতে কোন কিছু নিরাপত্তার জন্য শক্ত করে ধরে রাখা বুঝায়। ইস্মা হল নিরাপত্তা। ইতসাম হল নিরাপত্তার জন্য কোন কিছু ধরে রাখা। নিজের নিরাপত্তার জন্য কোন কিছু আঁকড়ে ধরে থাকা। ওয়াতাআসিমু বিহাব্লিল্লাহি- আল্লাহ্‌র নিরাপত্তা অথবা আল্লাহ্‌র দড়ি ধরে থাকা। জামিয়ান- সবাই একসাথে, আল্লাহর দড়ি পরিপূর্ণ ভাবে ধরে থাকা। এই আয়াতে আল্লাহ্‌র দড়ি বলতে বুঝান হয়েছে, দড়ি হল এমন কিছু যা আপনাকে সরাসরি অন্য কিছুর সাথে সংযুক্ত করে, হাব্লুল্লাহ- এই অংশটি- হাব্লুল্লাহ আল্লাহ্‌র দড়ি - এর ব্যাকরণগত গঠনও এটাই প্রকাশ করে যে এই দুটি শব্দ এখানে অবিচ্ছেদ্য। আরবিতে একে ইদাফাহ বলা হয়। কিন্তু আমি ব্যাকরণের খুব গভীরে যাচ্ছি না। আমি যা বলতে চাচ্ছি, আল্লাহ এমন ভাবে বলছেন যেন এই দড়ি আল্লাহ্‌র সাথে সরাসরি সংযুক্ত, তাই আপনার নিরাপত্তার জন্য একে ধরে থাকা উচিৎ, এবং আপনি যদি টা করেন তাহলে আপনিও আল্লাহ্‌র সাথে সরাসরি যুক্ত হবেন, এবং আল্লাহ্‌র এই দড়ি, মহানবী (সাঃ) এর মতে হল- কুরআন নিজেই। ওয়াতাআসিমু বিহাব্লিল্লাহি জামিয়ান- সবাই একসাথে। অন্যভাবে বলতে গেলে, আমাদের জন্য কুরআনের কাছে আসা একটি দলগত কাজ। আমাদের সবাইকে এটা একসাথে করতে হবে। কুরআনের কাছে আসার জন্য আপনাকে আমার সাহায্য করতে হবে, আবার আপনাকে আমাকে সাহায্য করতে হবে কুরআনের কাছে আসার জন্য। এটা এমন কিছু যা আমাদের সবাইকে একে অন্যের জন্য কুরতে হবে। এটা নিজে নিজে করার জন্য নয়। এর উপর জামিয়ানবা বলা যায়, তোমরা কুরআনের শুধু কিছু অংশ গ্রহন করে বাকি অংশ বাদ দিয়ো না। আপনাদের প্রচেষ্টা থাকতে হবে যথাসাধ্য সম্ভব কুরআনকে বুঝা এবং টা নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করার। এবং কুরআন থেকে যখন এমন কিছু আপনার সামনে আসবে, যা আপনি আগে জানতেন না, আপনার খুশি মনে একে গ্রহন করতে হবে।

স্পষ্টতই এটা একটি দীর্ঘমেয়াদি কাজ যতক্ষণে আপনি এবং আমি পুরো কুরআন বুঝতে পারব, এটা আমাদের জিবনে সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু অন্তত এখন আমরা জানি আমাদেরকে কি উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে। আল্লাহ বলেনঃ ওয়ালা তাফাররাকু- যেন তোমরা নিজেদের মধ্যে বিরোধে লিপ্ত না হও। এখানে মজার ব্যাপার হল, ইখতিলাফ বা মতবিরোধ শব্দটি একদিকে, কিন্তু এখানে যে শব্দটি এসেছে- তাফাররাকু যার মানে হল নিজেদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করা। তাফাররাকূ এর অর্থ বলতে আমি এটাই বলব। তারমানে আল্লাহ আক্ষরিক অর্থেই এটা বলছেন যে তার বাণীর উপর অটল হতে এবং নিজেদের মধ্যে ভাঙন বন্ধ করতে। নিজেকে এই দল, অথবা অই দল, অথবা অন্য কোন দলের লোক বলে ভাবা বন্ধ করুন, এমন ভাবে নিজেকে অমুক দলের অন্তর্ভুক্ত করা যেন আপনি অন্য দলকে পথভ্রষ্ট বলতে পারেন আর নিজেকে ঠিক বলতে পারেন, অথবা বলতে পারেন এরা ভুল আর ওরা ঠিক। এটা বন্ধ করুন। আল্লাহ্‌র দড়ির কাছে আসুন, নিজেকে রক্ষার জন্য টা শক্ত করে ধরুন। নিজেদের মধ্যে ভাঙন ধরিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না, যাই হোক, অনেকজন যখন একটি দড়ি ধরে থাকে তখন সত্যি সত্যি তারা নিজেদের কাছাকাছি চলে আসে। তাই আল্লাহ বলছেন, যখন আমরা কুরআন কে আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসব, যখন আমরা এই পদক্ষেপ নিব, স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মধ্যে আর বেশি বেশি একতা বৃদ্ধি পাবে। আমরা যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছি, আমরা বিভিন্ন ভাষা বলি, বর্তমানে ইংরেজি সাধারন ভাষা হিসেবে যথেষ্ট প্রসারিত হয়েছে, এবং মানুষ এখন এসব ভিডিও ইংরেজিতে দেখছে, তাইনা? কিন্তু আপনারা কি জানেন সত্যিকার সাধারন ভাষা কি? সত্যিকার অর্থে আপনি আমার কারনে এই ভিডিও দেখছেন না, দেখছেন কুরআনের কারনে, এটা হল আল্লাহ্‌র বানী। এবং আমি আশা করি যেন আল্লাহ আমাদের হৃদয়কে একসাথে নিয়ে আসেন, কাছাকাছি নিয়ে আসেন, প্রতিটি মিনিট এবং সেকেন্ডে যা এমনকি যা আমরা কুরআন তিলাওাত শুনতে অতিবাহিত করি, অথবা এর ব্যাখ্যা শুনি। এটা কুরআনের একটি স্বাভাবিক পরিণতি যা নিজেদের মধ্যে ভাঙন বন্ধ করে। এমনকি আপনি ভাঙ্গনের চিন্তাও করবেন না। আপনি এটা চিন্তা করবেন না যে অন্য মুসলিম থেকে আপনি কন দিক দিয়ে ভিন্ন, অথবা আপনি কিভাবে তাদের দোষ খুজে বের করবেন। আপনাকে আপনার নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে, আমাকে আমার নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে। আমি যদি সর্বদা অন্য আলেম, অন্য দল, অন্য মতবাদ বা অন্য মুসলিমদের সমালোচনা করি, আর একই সাথে আমি ভাবছি যে আমি আল্লাহ্‌র কিতাব থেকেও শিখছি, তাহলে সম্ভবত তা সত্যি নয়। এই দুটি জিনিষ কখনও একসাথে চলতে পারেনা, আপনি আল্লাহ্‌র কিতাবের সাথে যতই যুক্ত হবেন, আপনার এই মনোভব আপনার কাছ থেকে ততই দূরে সরে যাবে। তারপর আল্লাহ বলেনঃ ওয়ালা তাফাররাকু ওয়াজ কুরুনি আমাতা আল্লাহি আলাইকুম ইজ কুন্তুম আদা- দেখুন আল্লাহ কি বলছেন। তোমাদের উপর আল্লাহ্‌র নিয়ামত এর কথা স্মরণ কর যখন তোমরা শত্রু ছিলে। আমরা রামদানে এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি? যেমন ধরুন, আপনি রামাদানে মসজিদে আগের চেয়ে বেশি যান, সুবহানআল্লাহ, অথবা আপনি আগে জেতেন না, কিন্তু এখন যাচ্ছেন, আর এমন অনেক মুসলিম সেখানে আছে যারা আপনার থেকে ভিন্ন। যেমন আপনার হয়ত দাঁড়ি নেই তো আপনি দাড়িওয়ালা একজনকে দেখে ভাব্লেন, “এরা খুবই কট্টরপন্থী, উগ্র, এরা নিজেদের উঁচু মনে করে। আপনি একজন মুসলিম বোন যিনি হিজাব পরেন না, আপনি রামাদানে মসজিদে ঢুকে আর অনেককে পর্দাশীল অবস্থায় দেখলে, আর আপনি পর্দা করেছেন কারন আপনি প্রথমবারের মত মসজিদে এসেছেন আর চিন্তা করছেন এরা যদি জানত আমি আসলে কি রকম তাহলে আমাকে অন্যচোখে দেখত। এবং একইভাবে আপনি যেমন অন্নদের প্রতি ভুল ধারণা পোষণ করেন তারাও আপনার প্রতি ভুল ধারণা রাখে। এটাই হল উত্তম সময় এই আয়াত এর শিক্ষাকে কাজে লাগানোর। তোমাদের উপর আল্লাহ্‌র নিয়ামত এর কথা স্মরণ কর যখন তোমরা শত্রু ছিলে। কুন্তুম আদাফাল্লাহা বায়না কুলুবিকুম ফাসবাহতুম বিনিমাতিহি ইখ্বানান- তিনিই সেই যিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা দিয়েছেন। লক্ষ্য করুন, এমনকি এই বাক্যের শেষে এটা বলাই যথেষ্ট ছিল যে তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা দেন এবং তোমাদের একে অপরের ভাইয়ে পরিনত করেন, কিন্তু তিনি আর জোর দিয়ে বলেছেন- ফাসবাহতুম বিনিমাতিহি ইখ্বানান- বিশেষভাবে তার দয়া এবং শুধুমাত্র তার দয়ার কারনেই একে অপরের ভাইয়ে পরিনত হয়েছ। ইসবাহ তখনি ব্যবহার করা হয় যখন কোন কিছু পুরোপুরি রূপান্তর হয়ে যায়। ইসবাহ বলতে সকাল হওয়াও বুঝায়, যেন আপনি রাতে ছিলেন, আর আপনার জিবনে সকাল হল যখন আপনি আরেকজন মুসলিম এর সাথে ভ্রাতৃত্ব খুজে পেলেন। সুবহানআল্লাহ। আল্লাহ এটা এভাবেই বর্ণনা করেছেন, তার নিয়ামতের কথা স্মরণ করার মাধ্যমে আমরা অন্য মুসলিমদের প্রতি নম্রতা অনুভব করব।
এখন এমন একটা সময় যখন আমরা সবসময় সমালোচনায় লিপ্ত, মুভির সমালোচনা, গেমস এর সমালোচনা, আগেরদিনের আলেমদের সমালোচনা, কিছু লোক এমনকি নবীদেরকেও ছেড়ে কথা বলেনা। কিছু লোক আছে যারা ধর্ম দূরে থাক, স্রস্টাকেও সমালোচনা করতে ছাড়েনা। আমার আমাদের ধর্মের মধ্যেই কিছু লোক আছে যারা আগের যুগের আলেমদের সমালোচনা করে। তারা এমনকি বর্তমান সময়ের মানুষজনকেও ছাড় দেয় না। তারা অন্য মুসলিমদের, অন্য মতের, অন্য সংস্থার বা ছাত্রসংঘের সমালোচনা করে। তারা নিজেদের বন্ধুদের সমালোচনা করে অথবা স্থানীয় ইমামের। আমরা পুরোপুরিভাবে সমালোচনাতেই ডুবে আছি। আমরা এটাই করতে ভালোবাসি। তাহলে আল্লাহ্‌র নিয়ামত কোথায় যা আমাদের অন্যের প্রতি সদয় করে? এমনকি তারা যদি ভুলও হয়, তবুও আপনি তাদের কাছে যাবেন, তাদের কে জড়িয়ে ধরে বলবেন যে আপনি তাদের জন্য কতোটা ভাবেন, এবং তারপর সম্মানের সাথে তাদের ভুল শুধরানোর চেস্টা করবেন। এটা কোথায় গেল? রামাদানে এটাই আমাদের পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। ফাসবাহতুম বিনিমাতিহি ইখ্বানান- তোমরা আবার ভাইয়ে পরিনত হলে। ওয়াকুন্তুম আলা শাফা হুফ্রাতিন্মিনারি ফাঙ্কাথাকুম মিনহা- তোমরা সবাই ছিলে আগুনের প্রান্তে, এবং তিনি তোমাদের তা থেকে রক্ষা করেছেন। আল্লাহ এখানে বলছেন যে- তোমাদের আগুন থেকে রক্ষা করা হয়েছে যেন তোমরা একে অন্যের ভাই হতে পার। এটা এমন যেন এই ভ্রাতৃত্ব দ্বারাই আল্লাহ আমাদের আগুন থেকে রক্ষা করেছেন। এই ভ্রাতৃত্ব তোমাদের খারাপ কাজ থেকে দূরে রেখেছে, সুবহানআল্লাহ।


ওয়াকুন্তুম আলা শাফা হুফ্রাতিন্মিনারি ফাঙ্কাথাকুম মিনহা কাযালিকা উবায়্যিনু আল্লাহু লাকুম আয়াতিহি লাআল্লাকুম তাহতাদুন- এভাবেই আল্লাহ তার অলৌকিক উদাহরণ তোমাদের সামনে তুলে ধরে, যেন তোমরা হেদায়েতের পথে চলতে পার। এখানে আল্লাহ বলছেন, আর এটাই হল শেষ কথা যা আমি আপনাদেরকে এই বার্তাতে বলতে চাচ্ছি- আল ইহতিদা- হেদায়েতের পথে প্রতিজ্ঞ থাকা, নিজের উপর দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকা। এটা খুবই সাধারন একটা কথা, সূর্যের নীচে যা কিছু আছে সবই ইসলাম অনুযায়ী এই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত। নামাজ পরা, হাজ্জ করা, কুরআন তিলাওাত করা, সত্য কথা বলা সবই এই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামে এমন কিছুই নেই যাকে আপনি এই নির্দেশনার অন্তর্গত বলতে পারেন না। কিন্তু আল্লাহ যখন একে বিশেষ ভাবে কোন আয়াতের শেষে রাখেন, এটা আয়াতের বক্তব্যের সাথে যুক্ত হয়ে যায়। তাই এখানে বলা যায়, আল্লাহ বলছেন যে, আপনার ভাইয়ের প্রতি আপনার মনোভব, এবং ইসলামে ভাইয়ের প্রতি যে ভালবাসার কথা বলা আছে তার কারন হল আল্লাহ আপনার মধ্যে যে ভালোবাসা দিয়ে দিয়েছেন। তিনি এটা করেছেন যেন আপনারা তার নির্দেশনা মেনে চলতে পারেন। এবং এটা নিজেও এই নির্দেশনারই অংশ। আল্লাহ আমাদের জীবনের প্রতিটি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার তৌফিক দান করুন

মোঃ সাইদুর রহমান শামীম 


Saturday, September 6, 2014

War Crime Tribunal of Bangladesh is the arms to control against political party

 Few days ago I wrote of my Blog that I will be write same thing about International war crime  Tribunal in Bangladesh.  
Why I am writing now this article?  Because this tribunal is a controversial  tribunal not only  Bangladesh  its the whole world. So many international human right organisation, magazine and newspaper publish so many article and they criticise of this tribunal. Many international human right organisations is very concern about this tribunal and they think the intension of war crime tribunal is politically motivated.
The people of Bangladesh wanted to see proper judgement from long time since 1971 that is more than 40 years who had committed war crime during our liberation war in 1971.
The Present government of Bangladesh before coming to power they declared if they come to power they will justified war crime those committed during our liberation war 1971 by set up International War crime tribunal who had committed crime during our liberation war. But unfortunate it turn as a Kangaroo tribunal that people are making comment to see Judgement, prosecutor activities and political involvement  to this tribunal.    
Let me write about same individual who are involved as a judge, prosecutor and advisor. If you looked their past history and political view so that it will be clear that they politically motivated.  Question has rise Have they chosen to full fill the motivation of Awamilig government?  Have they involved any political organisation or a political motivated organisation? Let me introduce same of the guys they have recruited by government as a judge, prosecutor and advisor.
Firstly I am writing one of person the chairman of the war crime tribunal1 who has resign from the tribunal Nazim Uddin who claimed that he is international war  crime expert.  
The tribunal chairman Nizamul Hague Nasim why he has been chosen. He was the general secretary of one of the political party Jashod Chattro Lig in Bangladesh. Not only that he was secretary of  Ghatok Dalal Nirmol  Comiite.
 Another important person honourable formal law minister was his college there and Sultana  kamal  who is the witness against  Gulam  Ajam  in this case  they are the member of Ghatok Dhalal  Nirmol comitee .
Now I have to discuss what the outcome of this organisation is. The outcome was that Bangladesh Jamayate Islamic Leader formal president  professor Gholam  Ajam, president Motiuar Rahman Nizami  and very popular Islamic scholar Mowlana delwar  hossian  Saidee are ware criminal the should  be hang so called Ghatok Dhalal Nirmol Committee judgement made the decision long time ago before this  tribunal has been formed.
Then that Shofiq Ahmed became law minister, Nasim became the head judge of  international war crime tribunal and Sultana Kamal was appointed advisor of the  fist time of present government.  

Let me talk another person Ahmed Jiya uddin . Who is he?  He claimed he is international expert. Most importantly that He is member of Ghatok Dhala Nirmol Committee from last 20 years. Who was campaign for this trial of the political leader the Largest Islamic Party of Jamayete Islamic Bangladesh? It is very Claire that Formal law minister of Bangladesh, head judge Numazu uddin and prosecution and advisor work together from last 20 years under the Dhatok Dhalal Nirmol Comiti and from 25 years the demanding to hang those Islamic leader.   
It is most amazing and concern able thing that those people work last 20 years under the same organisation after that they become an important person of war crime tribunal.  So it is very difficult to believe how tribunal will be free and fear. Because those people are judging now under the tribunal they made a trail and demand hang the Jamayete Islamic leader 25 year ago.
Most importantly we are all know that police prepared the charge against the person who are committed crime then judge should decide. But we seen that the head judge made communication with his friend who lives in Beljium and he sending a fame of the judgement that how will be.
It was made by economist and popular  international  media,  newspaper published this conversation on their font page. It become very popular on social media like youtube, facebook and twiter . All world was surprised to see this conversation. It has clear that what is the motivation of this so called  international war crime tribunal in Bangladesh.  
Why this tribunal made us confuse? Why people are thinking that it is not a free and fear tribunal.
Let me discuss about that, firstly question has rise why stared the trail without Pakistani Army those are directly committed crime against humanity against the innocent people of Bangladesh. Why government have chosen only few important leader of Jamayete Islamic Leader after 40 years. Why they did not seek to the United Nation or other international organisation that are specialised about international war crime. Why they did not seek assistance or advice of International war crime tribunal in Hage or international criminal Courte. Why not allowed to access to see this tribunal from international lower those are expert on  international criminal law.
This thing is making confusing the people of Bangladesh about honestly and  intension of this tribunal. So it is almost clear that the present Awamilog government want to damage to largest Islamic political party this are getting popularity day by day. This party is very  strong and  increasing their popularity day by day.  

I think present government are using this tribunal as a hamper to control and damage this largest is Islamic party in Bangladesh  and same innocent  people to serve their political purpose. 

Sunday, August 31, 2014

শেখ হাসিনের গনত্রান্তিক বক্তব্য, জনগনের উত্তর

একটা মজার বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না ।
প্রত্যেক দিন বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি সংবাদ পত্র আমার পড়া হয়।আজ বসে বসে দৈনিক আমার দেশ অনলাইন পড়তেছিলেম। দেখলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য ছাপা হয়েছেন। শিরোনাম দেখে থমকে গেলাম। শিরনামটি ছিল এই রকম "" রাজনীতি থেকে জারা হারিয়ে গেছে তারা আর ফিরবে না আমি মিরথু কে পরোয়া করি না। তিনি তার বক্তব্বের এক জায়গায় বললেন যে, যারা ইয়াহিয়া খানের পা-চাটা কুকুর ছিল এবং যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তাদের অস্তিত্ব এখনো আমাদের সমাজে আছে। সেই সাথে অনেক কিছু। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে আশ্চর্য হলাম না কারন তিনি এই রকম কথা বলেন। যাক ভাবলাম দেখি প্রধানমন্তীর এই বক্তব্বের পরিপেক্কীতে পাঠকরা কি মন্তব্য করেছেন। মন্তব্য গুলো পড়ে এই কথা বুজলাম যে বাংলাদেশের  মানুষ এখন নাখ, কান খোলা রেখে চলে। আগের দিনের মত আর কথা দিয়ে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। পাঠকদের কিছু মন্তব্য আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। 

  Khalifa Malik  University of Dhaka 
বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার পালিত কুকুরদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে
Shame on Hasina for using such vulgar words against her political opponents. If Yahya was so bad, why her father preferred to surrender to his 'dogs' rather than leading the liberation war in person? Why she herself took a monthly allowance of Tk 1500 from Yahya regime and why her husband served the Yahya regime in 1971 rather than joining the ranks of freedom fighters?

 Alam Siddiqui · Kabi Nazrul Govt. College, Dhaka/Shere Bangla and Agrivarsity Mymensinghঃ 

The pet of Yahia was Sheikh Mujib. He made the under table agreement with Yahia to have him President of Pakistan and Sheikh will be the Prime Minister of Pakistan. It was Sheikh Mujib who was the main planner of genocide in 25th March in 1971 to kill all the independence seeker so that he could be the PM of The Union of Pakistan with state autonomy of East Pakistan .........the Mir Jaffar Ali Kha.....the assassin number one.....

কর্ম কদম-kormo kadom নামের এক জন লিখেছেন 
এত দিন সাধীনতার ইতিহাসকে ভুল ভাবে উপ্থাপন করা হয়েছে ,তথ্থ প্রযুক্তির যুগে আর মানুষকে বোকা বানানো যায় না ।সাধীনতা পূর্বক ও সাধীনতার পরে ইয়াহীয়ার সাথে মাখা মাখির কোন ফটো ও বিডিওচিত্র কোন বাংগালীর যদি থাকে তিনি হলেন মুজিব সাহেব
এ সব ফটো ও বিডিও চিত্র দেখলে মনে হয় মুজিব বাংগালী জাতীর চেতনার সাথে খেলোয়ার করছে । আপনে কাকে গালি দিচ্ছেন। 
উপরে মন্তব্য কারীকে সমর্থন করে এই বাক্তি লিখেছেন, 

Abul Zakaria  Open university dhaka

Kormo, I salute you for the right comment. Not only this, history is full of facts and surprises. Who is Sk Mujib? WHat was his name after his birth in CAlcutta? He got duped and fooled by Yahya. Under his very nose they were preparing for our genocide while he was bargaining for power. But again he was hand in globe with them while inciting us to agitate to create the ground for our massacre. By the grace of ALLAH we had some one like Tajuddin who steered the ship with his talents and farsightedness and saved the last straw. Without him b.Desh would never have been a reality. To day his ( Mujib's ) daughter is playing with our destiny and leading us to be slave nation. SHe is roaring and resorting to all sorts of punitive measures under her sleeve as because opposition is trying stand up against her illegal regime. But ALLAH is always wi9th the victims and oppressed. Mohammed U.K.

এই মন্তব্য গুলো থেকে কি বুজা যায়? এটা কি আমাদেরকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে না যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ আর যুদ্দ অপরাধীর বিচার, এই সমস্ত কথা বলে আর বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না।   
বাংলাদেশের মানুষ এখন ধান্দাবাজী রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে একটি সুন্দর প্রগতিশীল রাজনীতি চায়। 

লেখক 
মোঃ সাইদুর রহমান 
সহকারী সম্পাদক 
তৃতীয় আলো 




   

Saturday, August 23, 2014

সম্প্রচার কমিশন হবে একটি ‘জো হুজুর’ বা আজ্ঞাবাহী কমিশন।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে সরকার প্রণয়ন করল সম্প্রচার নীতিমালা।  অনেকে মনে করেন যে, এমনিতে বাংলাদেশের মিডিয়া গুলো কোন না কোন ভাবে government  নিয়ন্ত্রন করছে  যাহা প্রকাশে হউক বা আর গোপনে হয় তার উপরে যদি এই সম্প্রচার নীতি মালা কার্যকর করা হয় তাহলে সংবাদ মাধ্যম গুলোর কোন স্বাধীনতা থাকবে না।
একদিকে সরকার বলছে যে,এই সম্প্রচার নীতিমালা মাধমে সংবাদ মাধ্যম গুলো আরও বেশি স্বাধীনতা ভোগ করবে কিন্তু সরকার এ কথা বলেছে না যে দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি,আমার দেশ পত্রিকা কবে তাদের স্বাধীনটা ভোগ করবে।
এইবার আসুন দেখে নেই ইতিহাসের পাতা থেকে সংবাদ  মাধ্যমের  প্রতি  আওয়ামীলীগের কিছু চিন্তা ধারণা এবং আচরণ। আমার কাছে মনে হয় সেগুলো হয়ত আমাদেরকে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারে যে, আওয়ামীলীগ  সরকারের আমলে যদি এই সম্প্রচার নীতিমালা আইন আকারে  প্রণয়ন করা হয় তাহলে কি অবস্থা হতে পারে।  
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ২য় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। এবার ক্ষমতায় এসে তারা ভিন্ন ভাবে সংবাদপত্র দলন করা শুরু করে। দৈনিক বাংলা’, ‘বাংলাদেশ টাইমসএবং সাপ্তাহিক বিচিত্রাবন্ধ করা হয়। ২০০৮ সালে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০১৩ সালে দৈনিক আমারদেশ বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে দিগন্ত টিভিএবং ইসলামিক টিভিও বন্ধ করা হয়। এর আগে তারা চ্যানেল ওয়াননামক টিভিটি বন্ধ করে দেয়। আমার দেশের সম্পাদক মাহমুুদুর রহমানকে বছরের পর বছর কারাগারের অন্ধকারে পচানো হচ্ছে। পাকিস্তান আমলে দৈনিক ইত্তেফাকেরপ্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে একাধিক বার গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কোন বার তাকে এত দীর্ঘ সময় ধরে কারাগারে রাখা হয়নি। এছাড়া কারাগারের ভেতরেও তার সাথে ভিআইপির মত ব্যবহার করা হয়। চতুর্থ মেয়াদে অর্থাৎ গত ৫ই জানুয়ারী র‌্যাব এবং পুলিশের জোরে ক্ষমতায় এসে এবার গ্রহণ করা হল জাতীয় সম্প্রচার নীতি। এখন  মনে অজান্তে  প্রস্ন আসে যে, যে সরকার বন্ধ মিডিয়া  গুলোকে খুলে দিচ্ছে না তারা কি করে এই সম্প্রচার নিতিমালার মাধমে সংবাদ মাধ্যমের  স্বাধীনতাকে  আরও বিকশিত করবে।

বাংলাদেশের মত একটি স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের নীতিমালার কোন প্রয়োজন নাই। বিগত ৪৩ বছর ধরে এ দেশে সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন তাদের সম্পাদকীয় এবং সম্প্রচার নীতিতে সব সময় দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব হীনতার একটি উদাহরণও চোখে পড়ে না। তারপরেও বলতে চাই যে, এই ধরনের নীতি যদি আদতেই প্রণয়ন করতেই হয় তাহলে সেটি করবে একটি সম্প্রচার কমিশন, সরকার নয়। অথচ সরকার আগে ভাগেই সম্প্রচার নীতি প্রণয়ন করেছে, সেটি মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করেছে এবং গত বৃহস্পতিবার গেজেট নোটিফিকেশন করে সেটি সার্কুলেট করেছে। এরপর নাকি সম্প্রচার কমিশন গঠিত হবে। একথা বললে অযৌক্তিক হবে না যে সম্প্রচার নীতিমালা প্রস্তাবিত কমিশনের সামনে একটি গাইড লাইন হিসেবে কাজ করবে। সুতরাং সেই সম্প্রচার কমিশন হবে একটি জো হুজুরবা আজ্ঞাবাহী কমিশন। সরকার এখানে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দিয়েছে। মন্ত্রীসভা অনুমোদিত নীতিমালায় এমন সব বিধান রয়েছে যে সরকার ইচ্ছা করলে যে কোন সময় যে কোন টেলিভিশন বা রেডিও যে কোন অযুহাতে নীতিমালার অপব্যাখ্যা করে বন্ধ করে দিতে পারে। সম্ভবত সেটি আশঙ্কা করেই আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেছেন, যদি এখনই এই সম্প্রচার নীতিমালার বিরুদ্ধে এখনই প্রতিবাদ গড়ে তোলা না যায় তাহলে আগামী জানুয়ারী ফ্রেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই এক বা একাধিক মিডিয়া সরকারি রোষানলে পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে। এ জন্যই বলা হচ্ছে যে, এই আইন হল একটি কুখ্যাত কালা আইন এবং যেদিন থেকে এই আইনটি কার্যকর হবে সে দিনটি হবে বাংলাদেশের জন্য একটি কৃষ্ণ দিবস।
মু সাইদুর রহমান 

Saturday, August 16, 2014

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে শামীম ওসমানকে চাই

দুঃখে কপাল চাপড়াচ্ছি ১৩ আগস্ট চ্যানেল একাত্তরে প্রচারিত শামীম ওসমান-আইভীটক শোটা মিস করেছি সকালে উঠে দেখি সংবাদমাধ্যম সরগরম
দুঃখ আরেকটা, কিছু পুরোনো মাস দুয়েকহয়তো কিছু বেশি হয়েছে এক টকশোর জন্য বাসায় ক্যামেরা হাজির অধমের বসার ঘর থেকে কিছু অংশ টক শোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সামনে ক্যামেরা, কানে কিছু যন্ত্রপাতি লাগানো, যাতে স্টুডিওতে টক শোর অন্যান্য অংশগ্রহণকারীর কথা শোনা যায় আমি অবশ্য দেখতে পারছি না অন্যদের অনুষ্ঠান শুরুর দু-তিন মিনিট কিছু শুনতে পাইনি বুঝতে পারিনি স্টুডিওতে অন্য কে কে অংশ নিচ্ছেন
মাঝখান থেকে কানে লাগানো যন্ত্রে যখন কথাবার্তা শোনা শুরু হলো, ততক্ষণে অনুষ্ঠান চলছে তিন-চার মিনিট লেগে গেল অনুধাবন করতে যে টক শোটিতে স্টুডিওতে আছেন খোদ শামীম ওসমান
ওরে বাবা!
অধমের বাসায় চ্যানেলটির যে ক্যামেরাম্যান এবং আরও কর্মী এসেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলামবাবারে, আমি নাই ফলে নিজের বাসাতেই ক্যামেরার সামনে থেকে দৌড়ে বাসার অন্য রুমে গিয়ে আশ্রয় নিলাম পরে শুনেছি, অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক নাকি বলেছিলেন যে অধম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারছেন না
আইভী সাহসী, অত্যন্ত সাহসী অধমের মতো ভোঁ-দৌড় দেননি, নিজ বাসাতেই দু-একটা চ্যানেল আছে, যারা খবরের নিরপেক্ষতার স্বার্থে বারবার শামীম ওসমানকে টক শোতে ডাকে সব সময় আবার সবাইকে বলেও না যে মাননীয় সাংসদ অনুষ্ঠানটিতে থাকবেন তাই রিস্ক এড়াতে রকম দু-একটা চ্যানেলের কোনো টক শোতেই যাই না বলা তো যায় না, যদি তাঁর সামনে পড়ে যাই আমি বরাবরই অত্যন্ত ভীতু প্রকৃতির

.
একাত্তর পুনঃপ্রচার করবে কি না জানি না, তবে ধারণা করছি ইউটিউবে সবাই দেখছে
দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাই আছেন প্রতিমন্ত্রী অতএব, পূর্ণ মন্ত্রী তো দরকার
মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইবার পরিবর্তে এবার অতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে করজোড়ে নিবেদনমাননীয় সাংসদ শামীম ওসমানকে আপনার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়ে আমাদের ধন্য করুন
বলা বাহুল্য, কে ফুল মন্ত্রী, হাফ মন্ত্রী বা সিকি মন্ত্রী হবেন, সেটা অতি অবশ্যই অতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব ব্যাপার তাই ধৃষ্টতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তবে আমরা সুশীলরা যেহেতু সর্বক্ষণ মন্ত্রীদের পদত্যাগ চাওয়ার দোষে দুষ্ট, তাই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্তের কারণেও এবার পদত্যাগের বদলে নিয়োগ চাইছি
আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খালি পদের জন্য শামীম ওসমান থেকে যোগ্যতর ব্যক্তি এখন আর কে- বা আছেন
কারণ দর্শাই, আশা করি অতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন গলবে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে ওসমান পরিবারকে বিপদে-আপদে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা আমরা সবাই জানি আওয়ামী লীগের জন্য ওসমান পরিবারের অবদান কিংবদন্তিপ্রায় ষাটের দশকেরও বেশি সময় ধরে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝান্ডা উঁচিয়ে রেখেছে এই ওসমান পরিবার আওয়ামী লীগের জন্য প্রয়োজনে ছল, বল, কৌশলঅর্থাৎ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, খুন, দখল, টেন্ডারবাজি সবই করতে হয়েছে এই পরিবারকে প্রয়োজনে নির্বাচনে ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আবার ভোটাররা ভোট না দিলেও ফলাফলে তাঁদের জয় ঠিকই হয়েছে আওয়ামী লীগের মিটিং-সিটিংয়ে বাস-ট্রাক ভর্তি করে লোক জোগান দেওয়ার নির্ভেজাল ঐতিহ্য বহু দশকের
দ্বিতীয় গুণ হলো, সারা দেশের লোক শামীম ওসমানকে এক নামে চেনে প্রথম আলোর হার্ডকপিসফটকপি মিলিয়ে প্রতিদিনের যে লাখ পঞ্চাশেক পাঠক, তাঁদের বেশির ভাগ শামীম ওসমানকে নিশ্চয় চেনেন আরও অনেক বেশি, প্রথম আলোয় বারবার তাঁর গুণকীর্তনের কারণে
বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ কারণে যে বর্তমান মন্ত্রিসভার অর্ধশতাধিক মন্ত্রীর মধ্যে আধা ডজনের নামও বোধ হয় দেশের শতকরা ২০ ভাগ জনগণ বল