একটু দেরিতে হলেও বিবেক আমাকে লেখতে বাধ্য
করলো। আমরা কোন দিকে যাচ্ছি এটাই কি আমাদের পাওয়া।
রাজনৈতিক দলগুলোর
মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পরামর্শ ও আহ্বানকে আমরা
খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি। কারণ, একই পরামর্শ ও আহ্বান জানানো হয়েছে আরো অনেকের পক্ষ থকে।
মাত্র কিছুদিন আগে প্রথমে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর পরপর গত ১৯ জুন নিউইয়র্কে
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সুনির্দিষ্টভাবে
সংলাপের কথা বলেছেন মহাসচিব বান কি মুন। রাষ্ট্রপতিকে তিনি বলেছেন, সরকারের উচিত ‘সংসদের বাইরের’ দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের
মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা এবং নতুন একটি সংসদ নির্বাচনের আয়োজন
করা। এর জবাবে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট যে বক্তব্য রেখেছেন তা অবশ্য
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও স্তম্ভিত ও হতাশ করেছে। কারণ, রাষ্ট্রপতি হলেও আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ মানের নেতার মতো তিনি বলে বসেছেন, রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ এবং পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে এখনই কোনো দলের
সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই। এসব বিষয়ে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের
প্রাক্কালে সংলাপ বা আলাপ-আলোচনা হতে পারে। তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই এবং ৫ জানুয়ারির সংসদ
নির্বাচনকে জনগণ ‘ভালেভাবেই’
গ্রহণ করেছে! রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্যটুকু
ঢাকায় পৌঁছানোর পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ, তিনি এখন আর আওয়ামী লীগের নেতা নন, তিনি ‘মহামান্য’ রাষ্ট্রপতিÑ
সংবিধানের ব্যাখ্যার আলোকে যাকে ‘জাতির অভিভাবক’ বলা হয়। সুতরাং তার মতো একজনের পক্ষে কোনো সরকার বা
রাজনৈতিক দলের হয়ে ‘ওকালতি’ করার সুযোগ থাকতে পারে না। কিন্তু সব জেনে-বুঝেও
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট একটি দলীয় সরকারের রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে
ধরেছেন। সেটাও আবার জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে।
সুতরাং এখন আমাদের মনে
সন্দেহ জাগে যে তিনি কি আওয়ামীলীগের রাষ্ট্রপতি
না বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি.
No comments:
Post a Comment