Tuesday, July 1, 2014

শেখ হাসিনার এই কথা কোনো শিশু বা উন্মাদও বিশ্বাস করবে না ।

গত কয়েক দিন আগে সুইজারল্যান্ডের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গতবছর যারা ওদেশের ব্যাংকে গোপন অ্যাকাউণ্ট করে টাকা রেখেছেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। জমাক্রিত মোট টাকার পরিমান ৩২৩৬ হাজার কোটি টাকা। এই বিশাল অঙ্কের টাকা সুইস ব্যাংকে কারা জমা রাখলো, বলে না দিলেও সেটি বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। আমাদের প্রধান মন্তী শেখ হাসিনার কথাই  সেটা  প্রমান হয়েছে। গত ২৭ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সুইস ব্যাংক থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্পর্কে বলেছেন, এটা নিশ্চিত যে, তারা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তাতে খালেদা জিয়াসহ তার দুই ছেলে এই অর্থ পাচারকারী হিসেবে ধরা পড়বেন রেফারেঞ্চ হচ্ছে (ডেইলি স্টার, ২৮/০৬/১৪)।

সুইস ব্যাংকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে গত এক বছরে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যদি সত্য হয়, তাহলে গত একবছর ধরে বেগম খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলে সারা দেশে বিপুল মাত্রায় লুটপাট করেছেন। আর সে অর্থ নিয়ে জমিয়েছেন সুইস ব্যাংকে। শেখ হাসিনার এই কথা কোনো শিশু বা উন্মাদও বিশ্বাস করবে না। তিনি বলেছেন, সুইস ব্যাংকে যারা টাকা জমিয়েছেন, তাদের তালিকা শেখ হাসিনার কাছে এসে পৌঁছেছে। এটি এক অসম্ভব, অকল্পনীয় ব্যপার। সুইস ব্যাংকে যারা টাকা রাখে তাদের সঙ্গে ব্যাংকের শর্তই থাকে যে, কস্মিনকালেও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব কেউ জানতে পারবে না। আজ পর্যন্ত তা পারেওনি। এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের অনেক টানাপড়েন চলেছে। কিন্তু সুইস সরকার কিছুতেই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। পৃথিবীর বহু দেশের একনায়কেরা তাদের লুণ্ঠিত টাকা সুইস ব্যাংকে জমা রেখেছিলেন। কিন্তু সে টাকা তুলে ভোগ করতে পারেননি। কার্যত ব্যাংকগুলোই তার মালিক হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা যদি তালিকা হাতেই পেয়ে থাকেন, তাহলে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করছেন না কেনো।  আসলে বিগত সাড়ে পাঁচ বছরে এই সরকারের মন্ত্রী, এমপি, নেতারা যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন, হাজারগুণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন, তাদের টাকাই যে সুইস ব্যাংকে জমা হয়েছে এটি নিশ্চিত করে বলা যায়। শেখ হাসিনার দুর্নীতিবাজ তোষণ নীতিও তার প্রমাণসুতরাং  ভারতের মত বাংলাদেশে যদি সুইচ বাঙ্কে যারা টাকা  রেখেছেন তাদের যদি একটি  তালিকা  প্রকাশ হত তাহলে দেখতে পারতাম কারা  দুর্নীতিবাজ আর কারা দেশ প্রেমিক।