Monday, August 4, 2014

জেল অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের জন্য,বিরুধী দলের রাজনীতিবিদের জন্য নয়

আওয়ামী সরকার বিগত সাড়ে বছর ধরে রাষ্ট্রের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে প্রায়ই হিটলারি কায়দায় ব্যাপকহারে মূলত সরকারবিরোধী বৃহত্তম গণতান্ত্রিক জোটের রাজনৈতিক কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারের কারণে এমনিতেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাইবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, অপহরণ, খুন, গুম, ধর্ষণ, অবৈধ মাদক অস্ত্র ব্যবসা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা পুলিশের মূল দায়িত্ব হলেও পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় দাগী চিহ্নিত সন্ত্রাসী অপরাধীরা আরও বেপরোয়া তৎপরতার মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে সন্ত্রস্ত নিরাপত্তাহীন করে তুলেছে আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার ধরপাকড়ের মধ্য দিয়ে একদিকে দেশের প্রায় প্রতিটি কারাগারে ধারণ ক্ষমতার গুণেরও বেশি কারাবন্দী ঢুকিয়ে কারাগারগুলোতে এক ধরনের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করা হয়েছে অন্যদিকে কারাগারে দাগী অপরাধী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে লালন-পালন অপরাধ পরিচালনার সুযোগ দেয়া হলেও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিছক রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার করে ডা-াবেড়ি পরিয়ে পুলিশী রিমান্ডে নেয়ার অনেক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে পুলিশ বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি বা সংশোধনের জায়গা কারাগার যদি শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলারদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়, তাহলে আইনের শাসন নিরাপত্তা লাভের অধিকার থেকে দেশের সাধারণ মানুষ শুধু বঞ্চিতই হয় না, গোটা সমাজকে বিশৃঙ্খলা নিরাপত্তাহীনতার বিভীষিকাময় অন্ধকারও গ্রাস করে আওয়ামী সরকারের গতবারের শেষ সময়ে এসে জাতীয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার সরকারি দলের মদদে এখন চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী দাগী অপরাধীরা আত্মগোপন থেকে বা জামিনে বেরিয়ে নিয়ে এসেছিল বলে প্রকাশিত খবরে দেশ বাসী ও সাধারন মানুষ জানতে পারে। নির্বাচনে ক্যাডারম্যান হিসেবে ব্যবহারের জন্য ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের কাছে এই সন্ত্রাসীদের কদর বহুগুণে বেড়ে গিয়েছিল সন্ত্রাস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি দলবাজি নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতাসীন দল তার অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মী নামধারীদের সন্ত্রাসী কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে বিগত সাড়ে ৫ বছরে পুলিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোনো প্রকার ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি শাসক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গত সাড়ে বছর ধরে পুলিশের শক্তি-সামর্থ্যরে প্রায় পুরোটাই রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রাম দমনে ব্যবহারের নীতি পরিহার করে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, অপহরণ, হত্যা, গুম, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, প্রতারণা, জালিয়াতি, লুটপাট সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে পুলিশের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনে জবাবদিহিতা এখনও নিশ্চিত করা হবে না কেন? কারাগারগুলোকে সন্ত্রাসী অপরাধীদের শাস্তির জায়গা হিসেবেই দেখতে চায় দেশের জনগণ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের জায়গা হিসেবে নয়