Friday, July 25, 2014

এই ভাবে আর কত দিন চলবে..............................।

বিগত কয়েক বছর থেকে দেখতেছি বাংলাদেশের মাঠীতে ঘটে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
যেমন প্রকাশে খুন এবং গুম তাদের মধ্যে অন্যতম। মানুষ এখন চুরি ডাকাতি এই বিষয় এবং দুর্নীতি এই গুলো যে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড সে গুলো ভুলে গেছ। নিয়ন্ত্রন হীন ভাবে চলতে চলতে এই 
গুলো এখন সাধারন মানুষের কাছে সাধারন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সংবাদিক দম্পতী সাগর রুনি হত্যা হওয়ার পর মানুষ জাগ্রত হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে এত বড় একটি হত্যা কাণ্ড বাতাশের সঙ্গে মিশে গেল। যারা এই হত্যা কাণ্ডের বিরদ্ধে আন্দোলন করতে করেছিলেন অন্যান্য সংবাদিকদেরকে নিয়ে, প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা তাদেরকে ভাল পদবী দিয়ে আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিলেন।
কিন্তু সবকিছুর পর নারায়ণগঞ্জের হত্যাকান্ডের পর সারা দেশে যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন অপরাধ জগতের লোকজন হয়তো কিছুদিন থমকে দাঁড়াবে কিন্তু তেমনটি হয়নি অপহরণ, হত্যা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই চলেছে রাজধানীর রাজারবাগে ফিল্মী স্ট্রাইলে অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে টেলিকম ভবনের সামনে ঘটনা ঘটে ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, খিলগাঁও এলাকার বিকাশের পরিবেশক ২০ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ব্র্যাক ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন সময় রাজারবাগ টেলিকম ভবনের বিপরীত দিকের রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে পড়েন তারা সিগন্যালে থাকা অবস্থায়ই পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন যুবক ব্যবসায়ীর পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাগে থাকা ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে এজিবি কলোনির দিকে চলে যায় সময় তাদের চিৎকার শুনে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ মামুন দুর্বৃত্তদের মোটরসাইকেল আটকানোর চেষ্টা করলে তারা এক রাউন্ড গুলী ছোঁড়ে পরে মোটরসাইকেলে তাদের পিছু ধাওয়া করলে দুর্বৃত্তরা কমলাপুরের দিকে পালিয়ে যায় সময় ঘটনাস্থলে অন্য পুলিশ থাকলেও তারা ছিনতাইকারীদের ধরতে এগিয়ে আসেনি

প্রকাশ্য দিবালোকে ফিল্মী স্টাইলে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এভাবে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা থেকে সহজেই উপলব্ধি করা যায় যে, অপরাধ জগতের লোকেরা নিয়ন্ত্রিত হয়নি তাদের অব্যাহত অপতৎপরতা বেপরোয়া মনোভাবের রহস্য কী? এভাবে অপরাধ তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার সাহস তারা কীভাবে পাচ্ছে? দেশের জনগণ এজন্য অভিযুক্ত করছে পুলিশ-্যাব, প্রশাসন সরকারকে এসব অভিযোগের গুরুত্বকে স্বীকার করেও বলতে হয়, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমাজ সামাজিক সংগঠনেরও দায়িত্ব রয়েছে আর যারা অপরাধ করে তারা কোনো না কোনো পরিবারের সাথে যুক্ত আছে পরিবারের সদস্যরা জানার পরেও যদি অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সংশোধন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না চালায়, তাহলে সমাজকে অপরাধমুক্ত করা খুবই কঠিন ব্যাপার এখানে প্রসঙ্গত আরো বলে রাখা প্রয়োজন যে, পরিবার সমাজে যখন নৈতিক অবস্থা এমন শিথিল পর্যায়ে উপনীত হয়, তখন প্রশাসন সরকারের দায়িত্ব বেড়ে যায় কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের সরকার প্রশাসনের আচরণে বোঝা যায় না যে, তারা তাদের বাড়তি দায়িত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে তবে তাদের বোধোদয় জনগণের কাম্য

পরিশেষে বলা যায় যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজনীতির বৃত্তের উপরে না উঠে আইন জনগণের জন্য কাজ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি প্রতিস্তা হবে না।

আইনের শাসনের সটীক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে শান্তি শৃঙ্গলা  ফিরে আসবে বলে 
আমি মনে করি।