বর্তমান বাংলাদেশের নাগরিকদের সেই অধিকার কী আছে? আমরা যে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক, এটা এখন ভাবতেও কষ্ট লাগে। স্বাধীনতা মানে কোনো ব্যক্তি বা দলের নিয়ন্ত্রণে থাকার নাম নয়। স্বাধীনতার অধিকার সবার সমান অধিকার। প্রত্যেক নাগরিক বা দলের মত প্রকাশের সমান অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এক বা একাধিক বিরোধী দল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। সরকার অসাংবিধানিক, দেশবিরোধী বা জনস্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করলে বিরোধী দল এর সমালোচনা করবে। এ বিষয়ে জনগণকে অবহিত করবে।
প্রয়োজনে সভা-সমাবেশের
মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করবে। এগুলো তাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান সরকার
বিরোধী দলের সে অধিকার হরণ করে নিয়েছে। তাহলে গণতন্ত্র কী শুধু আওয়ামী লীগের জন্য?
সভা-সমাবেশ করার অধিকার
আছে। এসব কিছুই একজন নাগরিকের সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার। বাংলাদেশের
সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত
যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং
জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ প্রত্যেক নাগরিকের সভা-সমাবেশ করার অধিকার সাংবিধানিকভাবে
প্রতিষ্ঠিত।
সরকার এখন পুরোপুরি
প্রশাসননির্ভর হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষকে দমনের কাজে তারা প্রশাসনকে বেশি ব্যবহার
করছে। মানুষ বুঝতে পারছে না সরকার বিরোধী দলের সাথে এমন আচরণ করছে কেন? কেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেয়া হচ্ছে? একটি বিষয় পরিষ্কার, সরকার বিগত পাঁচ বছরে জনগণের মৌলিক সমস্যার একটি সমাধানও
করতে পারেনি। তারপর বাকশালী কায়দায় একদলীয় একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে
ক্ষমতায় এখন চরম ফ্যাসিবাদী শাসন চালু করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা এখন গুম,
অপহরণ আর হত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
আমরা কি ৩০লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা ছেয়েছিলাম। যেই স্বাধীনতা আমাকে আমার ঘর হয়ে বাহির হতে ভয় লাগে। আমি নিশ্চিত নই নে আমি কি আবার ঘরে ফিরে আসতে পারব। আর নাম কি স্বাধীনতা
No comments:
Post a Comment