Saturday, July 12, 2014

১০ টাকা কেজি চালের অপেক্ষা

বাংলাদেশের মানুষ বড় দয়ালু। কেম আমি দয়ালু বললাম তার কিছু বাস্তব সম্মত কারন আমি আপনাদের সামনে  তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করব। শুরু করা যাক এরশাদ সরকার দিয়ে। এরশাদ এমন একজন বাক্তি যিনি বাংলাদেশের গনত্রন্তকে বারবার ধ্বংস করে দিয়াছিলেন।গনত্রন্তের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সইরাত্রান্ত। অনেক চেষ্টা করেছিলেন সারা জীবন ক্ষমতায় থাকতে কিন্তু জনগন সে আশা পুরন করতে দেই নি।  কিন্তু পরিবর্তিতে আমরা দেখলাম যে জনগন ওনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়াছিল আবার সেই জনগন ওনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাহলে কি লাভ হল আন্দোলন করে এরশাদকে পতন ঘটাবার।

পরিবর্তিতে আমরা বিএনপির দুইবারের সরকার দেখেছি আবার আওয়ামীলীগের সরকারের কার্যকলাপ দেখতেছি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জনগন তাদের আধীকার আদায়ের জন্য বিএনপি ক্কমতায় বসিয়েছিল কিন্তু ১/১১ সরকারের সময় আমরা কি দেখলাম, দেখলাম কি ভাবে  দেশ তাকে লুটিয়ে খেয়েছিল সেই সরকারের নেতা নেত্রিরা। রাজনিতিক বাক্তিরা জনগনের আধীকার আদায়ের পরিবর্তে নিজেদের আধীকার আদায়ের ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ছিল।    

তারপরে যখন আওয়ামীলীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা আমাদেরকে শুনানো হল। আমরা ভুলে গেলাম আওয়ামীলীগের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের কার্যকলাপ। আমরা ভুলে গেলাম কিভাবে বায়তুল মুকারম মসজিদের উপর পুলিশ দ্বারা সরকার নিরীহ মুসল্লিদের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল। কি রকম দুর্নীতির পাহাড় গড়েছিল সেই সময়ের রাজনিতিক নেতারা। আমাদেরকে যখন বলা হল ১০ টাকায় চাল দিব ঘরে ঘরে চাকরী দিব ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। এই সমস্ত স্বপনের কথা শুনে ঘুমের ঘরে চুখ বন্ধ করে আমরা ভোট দিলাম আওয়ামীলীগকে। কিন্তু কি পেলাম আমরা।
রাজনিতিক বাক্তিরা  মাচ চাষ করে কোটি কোটি টাকার মালিক বলে গেল আর আমরা সেই ১০ টাকা কেজি চালের অপেক্ষায় রয়ে গেলাম।
যে  গনত্রনের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে আওয়ামীলীগ সরকার ভোট নিয়ে গেল ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আজ আমরা সেই ভোটের আধীকার হারালাম। ঘরে ঘরে চাকরী দেওয়ার পরিবর্তে ঘরে ঘরে লাশ, গুম, হত্যা পেলাম।   
এখন আলোচনা করা যাক কি ভাবে আমরা এই দুই দলের মধ্যে থেকে রেহাই পেথে পারি এবং কি রকম জনগনের রাজনীতি বাস্তবায়ন করতে পারি। 

আদর্শের রাজনীতি তো এখন সময়ের দাবি। জনগণও এমন রাজনীতি চায়। কিন্তু এমন পরিবর্তনের সূচনা কিভাবে হবে? ভিন্নগ্রহ থেকে কেউ এসে তো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করবেন না। ভিনদেশের কেউ এসে আমাদের রাজনীতির উপর ছড়ি ঘোরাবেন তাও আমরা চাই না। আমাদের কাজ আসলে আমাদেরই করতে হবে। কালান্তরের এই সময়ে নেতানেত্রীদের ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয়ে জনগণের শক্ত ভূমিকা প্রয়োজন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মোনাফেকির সাথে জড়িত কাউকেই নেতৃত্বের আসনে বসানো যাবে না। দল, মত, অঞ্চল এক্ষেত্রে যেন প্রশ্রয়ের ভূমিকা পালন না করে। রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতার বদলে যারা দমন-পীড়ন ও আতঙ্ক ছড়াবে তাদের সুস্পষ্টভাবে নাবলতে হবে। আর কোনো প্রলোভনের কাছে মাথা নত না করার শপথও নিতে হবে জনগণকে। নেতানেত্রীদের ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে কালান্তরের সময় এভাবেই ভূমিকা পালন করতে হয় স্বাধীন দেশের সাহসী জনগণকে। নেতানেত্রীরা ব্যর্থ হলে তো জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা পড়ে যায় হুমকির মুখে। জাতীয় স্বার্থে কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনগণকেই তখন যৌক্তিক পরিবেশ সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হয়। এমন পরিবেশে পথহারা নেতারা পথ খুঁজে পেতে পারেন কিংবা সৃষ্টি হতে পারে নতুন নেতৃত্বও। আর এ কথাও নিশ্চিত করে বলা যায় যে, গণজাগরণের এমন বাতাবরণে ফরমালিন-নেতাদের পরাজয় অনিবার্য। তেমন সুদিনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে জাতি।

মোঃ সাইদুর রাহমান 

No comments:

Post a Comment