ভারতের সাথে সমুদ্র সীমা
মামলার রায় গত কাল সকালেই বাংলাদেশের হাতে পৌঁছে গেছে। ২৪ ঘন্টা প্রায় পার হতে
চললেও সেই রায় নিয়ে এখনো কিছু বলছে না সরকারের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়। এর কারণ হচ্ছে সত্যিকার অর্থে এই রায়ে আসলে কিছু নেই। কারণ শেখ হাসিনা
ক্ষমতায় এসেই ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার আগেই বহুদিন ধরে বাংলাদেশের
দাবি করে আসা ১৮ টির মধ্যে ১১ টি ব্লক ভারতকে দিয়ে দেয়। অর্থাৎ মামলার আগেই ভারতকে
১১ টা ব্লক দিয়ে দেয়া হয়। মামলা সাজানো হয় মাত্র সাতটা ব্লক নিয়ে। মামলার নথি থেকে
অত্যন্ত গোপনে ১১ টি ব্লক বাদ দেয়া হয়। These blocks are - SS-01, SS-05,
DS-09, DS-10, DS-11, DS-14, DS-15, DS-19, DS-20, DS-24 and DS-25. এগুলো প্রায় সবগুলোই তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ মূল ব্লক। বাংলাদেশের
২০০৮ সালের দাবি থেকে গোপনে এসব ব্লক সরিয়ে মামলা করা হয়। মামলার আগেই এসব ব্লক
ভারত পেয়ে যায়। কাজেই সমুদ্র সীমা মামলায় আসলে তেমন কিছুই আর নেই।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে
ভারতীয় বিচারকের আদালত থেকে আসা রায়ে বাংলাদেশের কৌশলগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সমুদ্র
সীমার ক্ষেত্রে। কিন্তু সেই বিষয় ধামাচাপা দিয়ে তথাকথিত 'সমুদ্র জয়' নামক নাটকের
প্রস্তুতি কিভাবে নেয়া যায়, সেজন্যই রায়
প্রকাশে দেরি হচ্ছে। তাছাড়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সম্পূর্ন রায় সংবাদ মাধ্যমের
কাছে দেয়া হবে না এখন। আওয়ামী মিডিয়াগুলোকে বলা হয়েছে, রায়ের কোন টেকনিকাল বিশ্লেষণ না ছাপতে অথবা না প্রকাশ করতে।
তার বদলে 'সমুদ্র জয়' নামক শব্দগুচ্ছ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখানে
উল্লেখ্য, বিবদমান একটি পক্ষ ভারত
হলেও নজিরবিহীনভাবে এই মামলা ভারতীয় এক বিচারকের কাছেই দেয়া হয়। শেখ হাসিনার
নির্দেশে দীপু মণি আন্তর্জাতিক আদালতে বিশেষ আবেদনের মাধ্যমে এই কাজ করে।
এখন প্রশ্ন হতে পারে কি লাভ হল বাংলাদেশে কিন্তু
অনেক লাভ হয়ে গেছে শেখ হাসিনার।
আমরা
জানি যে, যে জায়গা ভারত পেল সেটা কখন
ভারতের ছিল না কিন্তু ঐ যে বলা হয় না বোকার ধনের উপর জ্ঞানীর অধীকার আছে। সেটা ঘটল এক্ষণ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
কংগ্রেসেকে হারানোর
পর শেখ হাসিনা যে ভাবে বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন কারন যাদের আস্রয়ে পস্রয়ে তিনি এতদিন
থেকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রয়েছিলেন। কিন্তু মুধী সরকার আসার পর তার মন পাওয়ার জন্য
বাংলাদেশের গুরুত পূর্ব বিশাল অংশ সমুদ্র তিনি চেড়ে দিলেন।
তাই আমার মনে হয় যে রায়টি হল তাতে সমদ্র জয়ের পরিবর্তে মুধী
সরকারে মনকে জয় করাটা প্রাধান্য পেয়েছে।
No comments:
Post a Comment