Saturday, June 21, 2014

আদালতের ফাইনাল পরীক্ষা

বেশ কয়েক দিন আগে থাইল্যান্ডের একটি বিষয় নিয়ে সারা পৃথিবীতে আলোচনার বন্যা ভয়ে গিয়াছিল পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের বড় বড় পত্রিকা গুলো বড় বড় হেডলাইনে সংবাদ প্রচার করেছিল বিষয়টি ছিল থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা জন মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয় পাশাপাশি নিয়োগ করা হয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী গত বছরের নভেম্বরে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে থাইল্যান্ডে এরই মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে সেখানে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়া হয় বিরোধী দল সেই নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় বাতিল হয়ে যায় সেই নির্বাচন প্রসংশার বিষয় ছিল থাইল্যান্ডের আদালত কতটা স্বাধীন এবং শক্তিশালী আইনের শাসন কতটা কার্যকর
প্রথমে থাইল্যান্ডের বিষয়টা আলোচনার করার অর্থ হল যে,থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের খুব সুন্দর একটি মিল রয়েছে থাইল্যান্ডের সাধারন নির্বাচনে প্রধান বিরুধী দল অংশ গ্রহন করে নাই তেমনি বাংলাদেশে বিগত জানুয়ারীর নির্বাচনে প্রধান বিরুধী দল অংশ গ্রহন করে নাই থাইল্যান্ডের যেমন ইংলাক শিনাওয়াত্রা দল বিরুধী দল বিহীন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে নির্বাচিত হয়েছিলো তেমনি শেখ হাসিনার দল বিরুধী দল বিহীন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে বিনা ভোটে জয়লাভ করেছিল কিন্তু ভিন্নতা হচ্ছে নির্বাচনের পর থাইল্যান্ডের আদালত সরকার প্রধানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ   দেয়েছিল এবং সেই সাথে বিরুধী দল বিহীন নির্বাচনকে বাতিল করে দেয় কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে বাংলাদেশের আদালত এই রকম কোন  দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি নিছে আমি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব যে আদালত চাইলে থাইল্যান্ডের আদালত মত বাংলাদেশের আদালত এই রকম একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারত কারন হল ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী হয় নাই    
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধানের বৈধতা নিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নিয়ে রুল জারি করেছিল জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালামের দায়ের করা রিট আবেদনে হাইকোর্ট ওই রুল জারি করে রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম
রিট আবেদনে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায় এক্ষেত্রেনা ভোটের কোনো বিধান রাখা হয়নি অথচ সংবিধান স্পষ্ট বলছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদ গঠিত হবে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ ছাড়া কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করা সংবিধানের পরিপন্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট অ্যামিকাসকিউরি নিয়োগ দেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট অ্যামিকাসকিউরি নিয়োগ দেন . কামাল হোসেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ছাড়াও রয়েছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম আমীর-উল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, মাহমুদুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ
জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৪ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন আমরা জানি যে,বাংলাদেশে একটি সরকার নির্বাচিত হতে হলে ১৫১ টা আসনের প্রয়োজন হয় কিন্ত জানুয়ারীর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪টা  আসনে ১৪ দলের সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হন যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা সংবিধানের , ১১, ২৭, ৩১, ৬৫ (), ১২১ ১২২ () অনুচ্ছেদের পরিপন্থী
পরিষ্কার ভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য সংবিধানের উপরের অনুচ্ছেদে কি বলা হয়েছে এখন আমি চেষ্টা করব আলোচনা করার জন্য
সংবিধানের অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে
সুতরাং সংবিধানে বলা হয়েছে প্রজাতন্তের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন এবং
জনগন সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারবে কিন্ত জানুয়ারির নির্বাচনে জনগন তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে নাই ১৫৪ টি আসনে জনগনের ক্ষমতার প্রয়োগ ছাড়া সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে  সরকার গটন করা হয়েছে যা  সংবিধানের পরিপন্তি
সবচেয়ে গুরুত্ত পূর্ণ বিষয় হল যে, সংবিদানের ৬৫() এবং ১২২() অণুচ্ছেদ সংবিধানের ৬৫() অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের () দফার কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন ১২২() অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রাপ্ত বয়স্কের ভোটাধিকার-ভিত্তিতে সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে
এখনে ১২২() সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, প্রাপ্ত বয়স্কের  ভোটাধিকারের ভিতিতে সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে কিন্তু জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা ভোটে ১৫১ আসনের পরিবর্তে ১৫৪ আসনে সংসদ সদস্যরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হন যেখানে সরকার গটন করতে ১৫১ আসনের প্রয়োজন হয়    
এখন আলোচনা করা যাক যে আমি প্রথমে বলেছিলাম যে আদালতের ফাইলান পরীক্ষা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখন একটি সাধারন ধারনা জন্ম হয়ে গেছে যে সরকার যা চায় আদালত তা রায় দেয় তার বাস্তব প্রমান হল, সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্তা চায় নাই তাই আদালত কৌশলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাবস্তা বাতিল করে রায় দিল যা জনগনের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে জনগনের মনে আরও সন্দেহ তৈরি হয়েছ স্ক্যইপ সংলাপ প্রকাশ হওয়ার পর সেখানে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হয়েছে কিভাবে সরকার বিচার বিভাগকে শাসন করছে এই সমস্ত  ঘটনার জন্য জনগনের মনে সন্দেহ গণীভূত হয়েছে প্রকট
কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে  সাম্প্রতিক এক বিষয় নিয়ে  বলেনকনটেমপ্ত অব কোর্ট (আদালত অবমাননা) হলে আই ডোন্ট কেয়ারসুতরাং এটা থেকে বোজা যাচ্ছে যে মাননীয় প্রধানমন্তী কতটুকু আইনের প্রতি স্রদ্দাশীল পরবর্তীতে এই সংবাদ বাংলাদেশের একটি ইংরেজী সংবাদ পত্রে  প্রকাশিত করা হলে সেটি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়কিন্তু আদালত সে  বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই যা সত্যি অভাক করেছে আমার মত অনেকে এই কথাটি যদি কোন সাধারন মানুষ বা বিরুধী দলের কেউ বলতেন তাহলে এত দিনে ওনার কি যে অবস্থা হল তা অতীতের ইতিহাস আমাদেরকে বলে দেয় তার একদিন পর আইনমন্ত্রী একটি প্রোগ্রামে বিচার বিভাগের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন বিচার বিভাগ যেন তাদের সিমা অতিক্রম না করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এবং আইন মন্ত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে যে, এই বক্তব্য গুলো বিচার বিভাগের প্রতিএকটি হুমকি যা খুব সহিজেই প্রতীয়মান হয় এবং  এটি বিচার বিভাগকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে বাধার সৃষ্টি করবে বলে আমার মনে হয়
এই পুরো বিষয় থেকে একটি সন্দেহের  সৃষ্টি হয় যে বিচার বিভাগ কি পারবে  স্বাধীন ভাবে কাজ করে সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের  আধীকার ফিরিয়ে দিতে থাইল্যান্ডের আদালতের মত বাংলাদেশে জানুয়ারীর  বিরুধীদল বিহীন এবং ভোটার বিহীন এই নির্বাচনকে বাতিল করতে, না  শাসকের চাপে আইন শাসিত হবে তাই আমার মনে হয়, সময় এসেছে এখন আদালতের ফাইলান পরীক্ষা দেবার আইনের শাসন  প্রতিস্তিত হবে না শাসকরা আইনকে শাসিত করবে 

              
  


Islam is the oldest religion not Hinduism

So many of my   friend says that  Hinduism is the oldest religion not  Islam . Here I am   trying to  show that Islam is the oldest religion not Hinduism.

Hinduism is not the oldest of all the religions. It is Islam which is the first and the oldest of all religions. People have a misconception that Islam is 1400 years old and that Prophet Muhammad (pbuh) is the founder of this religion. Islam existed since time immemorial, ever since man first set foot on this earth. Prophet Muhammad (pbuh) was not the founder of Islam. He was the last and final Messenger of Almighty God.

The oldest religion need not be the purest and the most authentic religion
A religion cannot be claimed to be most pure and authentic, only on the criterion that it is the oldest. It is similar to a person saying that the water he has kept in an open glass, in his house, outside the refrigerator, for three months is purer than the water which has just been collected in a clean glass, immediately after it has been purified.

The latest religion need not be the purest and the most authentic religion
On the other hand a religion cannot be claimed to be the purest or authentic, only on the criterion that the religion is new or the latest. A bottle of distilled water which is sealed, packed and kept in the refrigerator for three months is much purer than a bottle of water freshly collected from the sea.
For religion to be pure and authentic, it should not have interpolations, changes and revisions in its scriptures revealed from God

For any religion to be pure and authentic, its scriptures should not contain any interpolation, addition, deletion or revision. Moreover the religion’s source of inspiration and direction should be Almighty God. The Qur’an is the only religious scripture on the face of the earth which has been maintained it its original form. All the other religious scriptures, of all the other religions have interpolations, additions, deletions or revisions. The Qur’an has been in the memory of a multitude of people, intact in its original form ever since its revelation, and now there are hundreds of thousands of people who have preserved it in their memory. Moreover, if you compare the copies made by Caliph Uthman from the original Qur’an which is yet present in the museum in Tashkent and in Koptaki museum in Turkey, they are the same as the ones we possess today.

Allah (swt) promises in the Qur’an, in Surah Al Hijr, chapter 15 verse 9
"We have, without doubt, sent down the Message; and We will assuredly guard it (from corruption)."

The oldest religion need not be best religion
A religion cannot be claimed to be the best religion only on the criterion that it is the oldest. It is similar to a person saying, that my 19th century car is better than a Toyota car manufactured in 1998, because it is older. He would be considered to be a fool to say that his 19th century car which required a rod to be turned in circles to start it, is better than a key-start 1998 Toyota car, just because it is older.

The latest religion need not be the best religion
On the other hand a religion cannot be called as the best religion only on the criterion that the religion is new or that it came later. It is similar to a person who says that my 800 cc Suzuki car manufactured in 1999 is better than a 5000 cc Mercedes 500 SEL manufactured in 1997. To judge which car is better, a person should compare the specifications of the car e.g. the power of the car, safety measures, the capacity of the cylinders, the pickup, the speed, the comfort, etc. 5000 cc Mercedes, 500 SEL car manufactured in 1997, is far superior and better than a 800 cc Suzuki (Maruti Suzuki 800) manufactured in 1999.

A religion is best, if it has the solutions to the problems of mankind
For a religion to be considered the best, it should have the solution to all the problems of mankind. It should be the religion of truth, and should be applicable to all ages. Islam is the only religion which has the solution to all the problems of mankind. e.g. the problem of alcoholism, surplus women, rape and molestation, robbery, racism, casteism, etc.

Islam is the religion of truth, and its laws and solutions are applicable to all the ages. The Qur’an is the only religious book on the face of the earth, which has maintained its purity and authenticity proving itself to be the word of God in all the ages. i.e. previously, when it was the age of miracles, literature and poetry and in present times when it is the age of science and technology. Moreover, Islam is not a man-made religion, but a religion revealed and inspired by Almighty God. It is the only religion acceptable in His Sight.




Tuesday, June 3, 2014

Democracy is government of the Awami League, by the Awami League, for the Awami League


গণতন্ত্রের প্রবক্তাদের অকাট্য যুক্তিজনগণ দেশের মালিক দেশ শাসনের অধিকারও তাদেরই সেটি আমাদের  সংবিধানে আছে যে জনগন তাদের ভোটের  মাধ্যমে তাদের প্রতিনিদি নির্বাচন করবে। এটা হল গনত্রন। যেমনটি প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছেন, Democracy is government of the people, by the people, for the people. কিন্তু  দুঃখ জনক হলে সত্যি যে বাংলাদেশের গনত্রনের সঙ্ঘা পরিবর্তন হয়েছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে  গনত্রন্তের সংঘা এমন হওয়া  উচিত যে, Democracy is government of the Awami League, by the Awami League, for the Awami League. আবার অনেকে Awami League-এর স্থলে India শব্দ ব্যবহার সমীচীন মনে করছেন
নব্বই সালে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর গত ২৩ বছরে দাঁড় করানো নির্বাচন ব্যবস্থা বর্তমান সরকার তার অজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তছনছ করে দিয়েছে গত জানুয়ারির প্রার্থীবিহীন, ভোটারবিহীন তামাশার নির্বাচন আর সর্বশেষ অনুষ্ঠিত পাঁচ দফার উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে গণহারে সিলমারা এমনকি ভোটের আগের রাতেই বাক্স ভরে ফেলার মতো অবিশ্বাস্য ঘটনা দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে খেলো পর্যুদস্ত করে ফেলেছে এতে করে যে শুধু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সম্ভ্রম হারিয়েছে তা নয়, গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে শাসক শ্রেণীর নগ্ন ভোটলুট দশম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জোটের অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে দলীয় সরকারের অধীনে যে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বাংলাদেশে অবশিষ্ট নেই তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছে
বলা হয়, All the ills of democracy can be cured by more democracy. অর্থাত্ গণতন্ত্রের যাবতীয় রোগবালাই সারাবার জন্য দরকার অধিকতর গণতন্ত্রশুধু তাই নয়, সব ধরনের রাজনৈতিক ব্যাধিরও একমাত্র অমোঘ ওষুধ হচ্ছে নিখাদ, নিখুঁত গণতন্ত্রকিন্তু এটাও অপ্রিয় সত্য যে, স্বৈরতন্ত্র, একনায়কত্ব, জাহেলিয়াত মরিয়াও মরে নাসহিংস ক্ষমতাভিলাষ পরাস্ত হলেও নিশ্চিহ্ন হয় নাস্বৈরাচারী-একনায়কেরা গণতন্ত্রের রূপসজ্জা করে গণতন্ত্রের গুণকীর্তনের আড়ালে থেকে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেতাই অনেক তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশে, বিশেষ করে পশ্চিমা উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর আর্থিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল অনুন্নত স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে গণতন্ত্রের ইমিটেশন বা অনুকৃতি চালু আছেগণতন্ত্রের মন্ত্রপাঠ করে ফ্যাসিস্ট ডিকটেটররা গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত করে চলেছেগণতন্ত্রের রক্ষক বলে দাবিদাররাই গণতন্ত্র বিনাশে তত্পরস্বাধীনতা মুক্তি সংগ্রামের সোল এজেন্টরা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের বধ্যভূমিতে রূপান্তরিত করছেসন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদ দমনের ভুয়া অজুহাতে গণহত্যা চালিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছেসকল ক্ষেত্রে চরম রূঢ় আচরণ করছে প্রসঙ্গে বিখ্যাত আমেরিকান লেখক এরিক হোফারের একটি মন্তব্য স্মরণ করা যেতে পারেতার মতে—‘রূঢ়তা হলো দুর্বল ব্যক্তির নিজেকে শক্তিমান দেখানোর ছল

বাংলাদেশের গনত্রন্ত যে মরন হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ৯০সালে বাঙ্গালী জাতি আন্দোলন করেছিল এবং গনত্রন্ত প্রতিস্তিত করেছিল এরশাদ স্বৈরাচার কাছ থেকে এখন আবার সময় এসেছে যে বাংলাদেশের গনত্রঙ্কে পুনরজ্জিবিত করারা জন্য শেখ হাসিনা বাকশাল সরকারের পতন ঘটিয়ে গনতন্তকে পুনরায় প্রতিস্তা করা। এই জন্য বাংলার জনগকে শুধু মাত্র রাজনৈতিক দলের উপর ভর করে থাকলে হবে বা নিজ নিজ উদ্যোগে আন্দোলনে জাপিয়ে পড়তে হবে। 

লেখক
মোঃ সাইদুর রহমান
ফ্রিলান্স সাংবাদিক, অনলাইন একটিভিস্ট

Saturday, May 31, 2014

আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বোমা হামলা

যে কোন আপরাধ মানব সভ্যতার  জন্য অভিশাপ। হয়ক সেটা আমার ধারা সঙ্ঘটিত বা অন্য কারো ধারা সংঘটিত। একটি দেশে কিছু মানুষ থাকে যারা দেশের জন্য কথা বলবে, দেশের মানুষের জন্য কথা বলবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে, যারা কোন রাজনিতিক দলের মধ্যে মাঝে ভিবক্তি হয়ে কথা   বলবে না।
কিন্তু আমাদের বড় দুর্ভাগ্য যে, আমাদের দেশের  বেশির ভাগ বুদ্দিজীবি, সুশীল সমাজ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেছেন। কেউ কেউ আওয়ামীলীগ বা আবার কেউ কেউ বিএনপি  কেউ বা আবার অন্য কোন পার্টী। যাক আমার লেখার বিষয় সেটা না। মুল কোথায় ফেরা যাক ।
বাংলাদের বেশ কয়েকবার বড় বড় বোমা হামলা কয়া হয়েছিলো। যেটা যেমন ঘটেছিল আওয়ামীলীগ সরকারের সময় আবার তেমনি বিএনপি সরকারের সময়। প্রত্যেকটি বোমা হামলা মানব সভ্যতার জন্য অভিশাপ যা আমি মনে প্রানে ঘৃণা করি কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় যে, আওয়ামীলীগ সমরতিত আলোচকরা, আলোচনার টেবিলে বা রাজনীতিক মঞ্ছে বা রাজনিতীক ভাবে লিখিত বই গুলোর মধ্যে মনের মাধরী মিশিয়ে সমালোচনা করা হয় ২১শে আগস্ট বোমা হামলার কথা। সেই সাথে তারা বিএনপি আমলে ঘটে যাওয়া বোমা হামলার কথা খুব গরম গলায় বলে জান। এই রকম আলোচনা করা ভাল যার ফলে আমরা তরুণ প্রজন্ম জানতে পারি অতীতের কোন সরকারের আমলে কি হয়েছিলো। এই সমস্ত কথা ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় যোগ্য দল বেছে নিতে আমাদেরকে সাহায্য করবে।
কিন্তু যখন দেখি আওয়ামীলীগের সময়ে যে সমস্ত বোমা হামলা করা হয়েছিলো যে গুলোর কথা মুখে আনতে লজ্জা লাগে আওয়ামীলীগ সরমরতিত সুশীল সমাজ ও বুদ্দিজীবীদের। সত্য লুকিয়ে রাখতে ওনারা যেন হিমালয় পর্বতের মত অনড়। যেন ভুলের ট্যাবলেট খেয়ে সব কিছু ভুলে জান।
তাই আপনাদের সামনে কিছু তত্ত্ব তুলে ধরলাম সত্য জানার জন্য।  আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে  কোথায় কোথায় বোমা হামলা করা য়েছিলো।
এক, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে //৯৯ তারিখে যশোর টাউন হলে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা হয়
দুই,২০//০১ তারিখে পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা হয়
তিন ১৪//০১ তারিখে ১লা বৈশাখে রমনা বটমূলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়
চার, ১৬//০১ তারিখে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলা হয়
পাঁচ, //০১ তারিখে গোপালগঞ্জের বানিয়ারচরে গির্জায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে

লেখার সংেক্ষপের জন্য সব কিছু লেখা সম্ভব হল না যে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কোথায় এবং কখন ছোট বড় অনেক গুলু বোমা হামলা করা হয়েছিলো
একটি পরিসংখ্যানে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্দের চেতনা ধারী  আওয়ামীলীগ সরকারের সময় যে সমস্ত বড় বড় বোমা হামলা করা হয়েছিলো তাতে অন্তত ৭০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল এবং  শত শত লোক আহত হয়েছিলো। যারা আজও কষ্টের জীবন পার করছে।
সুতরাং আমি মনে করি প্রকৃতিগত ভাবে আমরা হয়ত বিভিন্ন গ্রপে বা দলে বিভক্তি হতে পারি কিন্তু সত্য কে যেন না লুকিয়ে রাখি। নতুন প্রজন্মের জন্য, নতুন প্রজম্নকে জানানোরে জন্য তাদের সামনে সত্য ইতিহাস তুলে ধরা প্রবীণদের শুধু মাত্র কর্তব্য নয় এটা একটা মাহা দায়িত্ব। জেনে শুনে যদি  রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বা দলের নেত্রিকে খুশি করার জন্য যদি সত্য কে চেপে রাখা হয় তাহলে ইতিহাস আপনাদেরকে কখন ক্ষমা করবে না।

লেখক 
মোঃ সাইদুর রহমান
ফ্রিলান্স সাংবাদিক, অনলাইন একটিভিস্ট


শেখ হাসিনা কি পারবেন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে


মোঃ সাইদুর রহমান ঃ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন,আপনি যদি নিজেকে জনগণের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, তাহলে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে আমার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১ থেকে আমার সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। যদি বিজয়ী হতে পারেন তাহলে আমি আপনাকে সালাম করে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবো।রোবার জাতীয় প্রেসক্লাবে যুব মহিলা দল আয়োজিত শহীদ জিয়ার ৩৩তম শাহাদৎ বার্ষিকীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
এখন আমাদের দেখার বিষয় হচ্ছে যদি তিনি মনে করেন জনগনের প্রধানমন্তী তবে তা প্রমান করার জন্য এই চ্যালেঞ্জ এর মোকাবেলা করবেন