Sunday, July 27, 2014

Nobel Committee Asks Obama “Nicely” To Return Peace Prize

Thorbjorn Jagland, chairman of the Nobel Peace Prize Committee, said today that President Obama “really ought to consider” returning his Nobel Peace Prize Medal immediately, including the “really nice” case it came in.
Jagland, flanked by the other four members of the Committee, said they’d never before asked for the return of a Peace Prize, “even from a damnable war-criminal like Kissinger,” but that the 10% drawdown in US troops in Afghanistan the President announced last week capped a period of “non-Peace-Prize-winner-type behavior” in 2011.  “Guantanamo’s still open. There’s bombing Libya. There’s blowing bin Laden away rather than putting him on trial. Now a few US troops go home, but the US will be occupying Afghanistan until 2014 and beyond. Don’t even get me started on Yemen!”

The Committee awarded Obama the coveted prize in 2009 after he made a series of speeches in the first months of his presidency, which convinced the Peace Prize Committee that he was: “creating a new climate of…multilateral diplomacy…an emphasis on the role of the United Nations…of dialogue and negotiations as instruments for resolving international conflicts…and a vision of world free of nuclear arms.”

But, he revealed the committee members were all “legless drunk” the day they voted, as it was the start of Norway’s annual aquavit-tasting festival. The “totally toasted” members listened over and over to replays of Obama’s Cairo speech, tearing up and drinking shots to the glorious future: a black man leading America and the world into a new era of peace, hope and goodwill. “For a few hours we were all 18 year-old students again at the beautiful, occasionally sunny University of Bergen! Oh, how we cried for joy!”

 The chairman said the committee weren’t “going to be pills” about getting the Prize back because they still “basically really liked” Mr. Obama and that sending it back in a plain package by regular mail would fine if it would save him the embarrassment of a public return. But added Jagland, “things could get nasty” if the committee didn’t see it by the time they announce the new Peace Prize winner in the fall. He and the committee then excused themselves to resume their celebration of Norway’s annual aquavit-tasting festival. The White House  had no comment. It later announced an aggressive new covert CIA initiative to identify and apprehend Al Qaeda operatives in Scandinavia.

Collected  news from this link

http://worldtruth.tv/nobel-committee-asks-obama-nicely-to-return-peace-prize/



M S RAHMAN 
Journalist and Online Activities

Friday, July 25, 2014

এই ভাবে আর কত দিন চলবে..............................।

বিগত কয়েক বছর থেকে দেখতেছি বাংলাদেশের মাঠীতে ঘটে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ।
যেমন প্রকাশে খুন এবং গুম তাদের মধ্যে অন্যতম। মানুষ এখন চুরি ডাকাতি এই বিষয় এবং দুর্নীতি এই গুলো যে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড সে গুলো ভুলে গেছ। নিয়ন্ত্রন হীন ভাবে চলতে চলতে এই 
গুলো এখন সাধারন মানুষের কাছে সাধারন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সংবাদিক দম্পতী সাগর রুনি হত্যা হওয়ার পর মানুষ জাগ্রত হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে এত বড় একটি হত্যা কাণ্ড বাতাশের সঙ্গে মিশে গেল। যারা এই হত্যা কাণ্ডের বিরদ্ধে আন্দোলন করতে করেছিলেন অন্যান্য সংবাদিকদেরকে নিয়ে, প্রধানমন্তী শেখ হাসিনা তাদেরকে ভাল পদবী দিয়ে আন্দোলন থেকে সরিয়ে নিলেন।
কিন্তু সবকিছুর পর নারায়ণগঞ্জের হত্যাকান্ডের পর সারা দেশে যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে অনেকেই ভেবেছিলেন অপরাধ জগতের লোকজন হয়তো কিছুদিন থমকে দাঁড়াবে কিন্তু তেমনটি হয়নি অপহরণ, হত্যা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই চলেছে রাজধানীর রাজারবাগে ফিল্মী স্ট্রাইলে অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনের ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে টেলিকম ভবনের সামনে ঘটনা ঘটে ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, খিলগাঁও এলাকার বিকাশের পরিবেশক ২০ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ব্র্যাক ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন সময় রাজারবাগ টেলিকম ভবনের বিপরীত দিকের রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে পড়েন তারা সিগন্যালে থাকা অবস্থায়ই পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলযোগে আসা তিন যুবক ব্যবসায়ীর পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাগে থাকা ২০ লাখ টাকা ছিনিয়ে এজিবি কলোনির দিকে চলে যায় সময় তাদের চিৎকার শুনে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ মামুন দুর্বৃত্তদের মোটরসাইকেল আটকানোর চেষ্টা করলে তারা এক রাউন্ড গুলী ছোঁড়ে পরে মোটরসাইকেলে তাদের পিছু ধাওয়া করলে দুর্বৃত্তরা কমলাপুরের দিকে পালিয়ে যায় সময় ঘটনাস্থলে অন্য পুলিশ থাকলেও তারা ছিনতাইকারীদের ধরতে এগিয়ে আসেনি

প্রকাশ্য দিবালোকে ফিল্মী স্টাইলে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এভাবে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা থেকে সহজেই উপলব্ধি করা যায় যে, অপরাধ জগতের লোকেরা নিয়ন্ত্রিত হয়নি তাদের অব্যাহত অপতৎপরতা বেপরোয়া মনোভাবের রহস্য কী? এভাবে অপরাধ তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার সাহস তারা কীভাবে পাচ্ছে? দেশের জনগণ এজন্য অভিযুক্ত করছে পুলিশ-্যাব, প্রশাসন সরকারকে এসব অভিযোগের গুরুত্বকে স্বীকার করেও বলতে হয়, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমাজ সামাজিক সংগঠনেরও দায়িত্ব রয়েছে আর যারা অপরাধ করে তারা কোনো না কোনো পরিবারের সাথে যুক্ত আছে পরিবারের সদস্যরা জানার পরেও যদি অপরাধের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সংশোধন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না চালায়, তাহলে সমাজকে অপরাধমুক্ত করা খুবই কঠিন ব্যাপার এখানে প্রসঙ্গত আরো বলে রাখা প্রয়োজন যে, পরিবার সমাজে যখন নৈতিক অবস্থা এমন শিথিল পর্যায়ে উপনীত হয়, তখন প্রশাসন সরকারের দায়িত্ব বেড়ে যায় কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের সরকার প্রশাসনের আচরণে বোঝা যায় না যে, তারা তাদের বাড়তি দায়িত্বের বিষয়টি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে তবে তাদের বোধোদয় জনগণের কাম্য

পরিশেষে বলা যায় যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজনীতির বৃত্তের উপরে না উঠে আইন জনগণের জন্য কাজ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি প্রতিস্তা হবে না।

আইনের শাসনের সটীক প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে শান্তি শৃঙ্গলা  ফিরে আসবে বলে 
আমি মনে করি। 





Tuesday, July 22, 2014

৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত ভুমি নিয়ে গেল ভারত। প্রধাম মন্তী সমুদ্র জয় এর ছেয়ে বড় তামাশা আর কি হতে পারে ।

 ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্দের সময় বাংলাদেশের মানুষ নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পাকিস্তানীদের হাত থেকে বাংলাদেশের ভুমিকে মুক্ত করেছিল। বিশ্বের মানচিত্রে চিত্রায়িত হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র। যে মানচিত্র ছিল বাংলাদেশের মানুষের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশ।  কিন্ত রক্তের অর্জিত বাংলাদেশের সে ভুমি নিয়ে গেল ভারত। বাংলাদেশের প্রধানমন্তী পেলেন সমুদ্র জয়। ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তে বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশর ভুমি ভারতকে দিয়ে আমরা করলাম সুমদ্র জয়।

এর চেয়ে বড় তামাশা আর কি হতে পারে। আমাদের প্রধাম মন্ত্রী বললেন বাংলাদেশ সমুদ্র জয় করেছেন আবার ভারত বলছে তারা সমুদ্র জয় করেছে।কিন্তু বাস্তবতা হল কোন মামলায় বা খেলায় কখন দুই দল জয় হতে পারে না। এটা স্বাভাবিক নয়। 

প্রিয় পাঠক আসুন আলোচনা করি আসলে কে সুমদ্র জয় করলো। ভারত না বাংলাদেশ।

সমুদ্রে সীমানা এবং দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বিরোধ চলছিল তার মীমাংসাহয়েছে। দীর্ঘ শুনানির পর গত সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের আকারে রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক সালিশী আদালত (পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন)। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগ-এ অবস্থিত আদালতের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে একজন ভারতীয় বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করলেও বাকি চারজনের অভিমতই সালিশী আদালতের রায় হিসেবে গৃহীত ও ঘোষিত হয়েছে। এ রায় সম্পর্কে জানানোর জন্যই মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার ঠিক বাম পাশে ছিলেন আকাশে ওড়ার রেকর্ড সৃষ্টিকারী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  আয়োজন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, শেখ হাসিনার সরকার কোনো বড় ধরনের সাফল্যঅর্জন করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় এ সাফল্য ছিল আবারও সমুদ্র জয়। কিছুদিন আগে মিয়ানমারের সঙ্গে জয়ীহওয়ার কথাটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী মাহমুদ আলী। তাকে সমর্থন যুগিয়েছেন পাশে বসা দীপু মনি। নিজেদের সাফল্য ও সমুদ্র জয় সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তারা সালিশী আদালতের দেয়া রায়ের মূলকথাগুলো তুলে ধরেছেন। এতে দেখা গেছে, ভারতের সঙ্গে বিরোধ ছিল প্রায় ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে। সালিশী আদালতের রায়ে বিরোধপূর্ণ ওই এলাকা থেকে বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। এর ফলে বাংলাদেশের মোট সমুদ্র সীমা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সালিশী আদালতের এ রায়ের ফলে বিরাট টেরিটোরিয়াল সমুদ্র এলাকা ছাড়াও দুইশ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণীজ ও অপ্রাণীজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একটি বিবৃতি হিসেবে সঠিক মনে হলেও তথ্য-পরিসংখ্যানগুলোর সত্যতা সম্পর্কে জানার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

অন্যদিকে দেশপ্রেমিক কোনো মহলই কিন্তু রায়টিকে সরকারের মতো সমুদ্র জয় মনে করতে পারেননি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ তো বলেছেনই যে, এই রায়ের মাধ্যমে সমুদ্রে ভারতের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থাৎ জয়করে থাকলে করেছে ভারত। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের উল্লাস করার কোনো সুযোগ থাকতে পারে না। কারণ, বিশেষ করে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা না দিয়ে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করা হয়েছে সর্বাত্মকভাবে। উল্লেখ্য, তিন দশকের বেশি সময় ধরে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর ¯্রােতের গতিপথ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধ ও মতপার্থক্য চলছিল। বাংলাদেশ দাবি করেছে, মধ্যস্রোতের হিসাবে হাড়িয়াভাঙ্গার প্রবাহের পশ্চিম তীরের স্রোতই দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপকে সৃষ্টি করেছে। এই বক্তব্যের সমর্থনে বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে নকশা, উপাত্ত ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। অন্যদিকে ভারতের বক্তব্য হলো, হাড়িয়াভাঙ্গার পূর্ব তীরের স্রোতই বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত মূল স্রোতধারা। তাই দক্ষিণ তালপট্টি বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমায় পড়ে না। এটা ভারতেরই আওতাভুক্ত। বিষয়টি নিয়ে ভারত বছরের পর বছর সময় নষ্ট করেছে। এমনকি ২০০৮ সালের আগে দীর্ঘ ২৮ বছরে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো বৈঠকে বসেনি। ভারতীয়দের অবস্থানে পরিবর্তন ঘটেছিল জাতিসংঘের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত সনদ ঘোষিত হওয়ার পর। এই সনদে জাতিসংঘ বলেছিল, বাংলাদেশকে ২০১১ সালের ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে এবং ভারতকে ২০০৯ সালের ২৯ জুনের মধ্যে গভীর ও বহির্সমুদ্রসীমা সম্পর্কে নিজ নিজ দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সমুদ্রতট থেকে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে প্রত্যেক দেশ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দাবি করতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সীমানায় সার্বভৌম অধিকার ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোনো সরকারই উদ্যোগ না নেয়ায় বাংলাদেশ তার অবিচ্ছেদ্য অংশ দক্ষিণ তালপট্টি, নিউমুর এবং পূর্বাশা দ্বীপের ওপর নিজের দাবি ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।


বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বৈঠকে সব সময় দুটি বিষয় প্রাধান্যে এসেছে। প্রথমটি হলো, কোন কেন্দ্রবিন্দু বা স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে নিজস্ব সমুদ্র সীমা ধরা হবে। দ্বিতীয় বিষয়টি ছিল হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর প্রবাহ সম্পর্কিত। উল্লেখ্য, হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর প্রবাহের সঙ্গে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানার প্রশ্ন সরাসরি সম্পর্কিত। এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, দক্ষিণ তালপট্টি ও ভারতীয় ভূখ-ের মাঝামাঝি নতুন ক্ষুদ্র দ্বীপ এবং বাংলাদেশের রায়মঙ্গল নদীর মুখে উত্তর-দক্ষিণে প্রলম্বিত দ্বীপÑ এই তিনটি ভূখ- হাড়িয়াভাঙ্গা ও রায়মঙ্গল নদীর প্রবাহকে পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। দক্ষিণ তালপট্টি হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর গতিধারায় অবস্থিত নয়। দ্বীপটি নদীর পূর্বদিকে এবং রায়মঙ্গল নদীর স্রোতধারার পশ্চিম পাশে অবস্থিত। যেহেতু ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণকারী র‌্যাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুযায়ী হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মধ্যস্রোত বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত হিসেবে চিহ্নিত ও স্বীকৃত, সেহেতু দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে কোনো বিরোধ বা প্রশ্ন থাকতে পারে না। এটা অবশ্যই বাংলাদেশের। কিন্তু ভারত শুধু বাংলাদেশের মালিকানা অস্বীকার করে এবং দক্ষিণ তালপট্টির ওপর নিজের মালিকানার দাবি জানিয়েই থেমে থাকেনি, বিভিন্ন উপলক্ষে দ্বীপটি নিয়ে যৌথ জরিপের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে। শেষ পর্যন্ত জয়ও করেছে ভারতই। আপত্তি ও উদ্বেগের কারণ হলো, শুধু তেল-গ্যাস নয়, সমুদ্রের তলদেশে অন্য অনেক সম্পদও রয়েছে। সুতরাং বিশেষ করে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ দক্ষিণ তালপট্টিকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েও যারা সাফল্যের দাবি জানাচ্ছেন তাদের সঙ্গে একমত হওয়া যায় না। আমরা বরং মনে করি, রাষ্ট্রীয় জীবনের অন্য অনেক বিষয় ও ক্ষেত্রের মতো সমুদ্র সীমা ও দক্ষিণ তালপট্টির প্রশ্নেও ভারতের সেবাদাসগিরি করা হয়েছে কি না সে ব্যাপারে দেশপ্রেমিকদের উচিত অনুসন্ধান করার উদ্যোগ নেয়া এবং সরকার ও ক্ষমতাসীনদের মধ্যকার কোনো গোষ্ঠী ভারতের পক্ষে ভূমিকা পালনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কারণ, যে কোনো ব্যাখ্যায় এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা পর্যায়ের গুরুতর অপরাধ। এ ধরনের কর্মকা-ের কারণেই আমাদের সমুদ্র এলাকা সংকীর্ণ হয়ে এসেছে এবং বিরাট এলাকা বেদখল হয়ে গেছে। আমাদের জাতীয় সম্পদও লুণ্ঠিত হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। সুতরাং সরকারের উচিত তথাকথিত সাফল্যের ঢেঁকুর তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পরিবর্তে একদিকে সঠিক তথ্য জানানো এবং অন্যদিকে বিশেষ করে দক্ষিণ তালপট্টির মালিকানা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দ্রুত সচেষ্ট হয়ে ওঠা। কারণ, প্রশ্ন এখানে জাতীয় স্বার্থের এবং সার্বভৌমত্বেরও।

Friday, July 18, 2014

তারেক রহমানের স্বপ্ন কিন্তু লন্ডনে আরামে বসে কি বাস্তবায়ন করা সম্ভব

প্রথমে আপনাদের সামনে আলোচনা করা যাক বাংলাদেশের আগামী দিনের প্রধানমন্তী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরী তারেক জিয়ার বাংলাদেশ নিয়ে কিছু চিন্তা ও পরিকল্পনা। 
  
নিজের চিন্তা চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির পালা বদলে এবং ভৌগোলিক কারণে গ্লোবাল ভিলেজে বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার নাম। কিন্তু এই সম্ভাবনার সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করবে সবার দায়বদ্ধতা, কর্মকাণ্ড ঐক্য ও অর্জনের ওপর। তাই স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেককে কিছু কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠা প্রয়োজন। তাহলে একটি ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকেও একটি উৎপাদনশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দুই দশকের বেশি সময়ের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে আমার নিজেরও চিন্তা, চেতনা এবং কর্মকাণ্ড জুড়ে রয়েছে একটি সমৃদ্ধশালী ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা।  বিশ্ব মানচিত্রে যার পরিচয় হবে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শিল্পায়নে স্বার্থক, অর্থনীতিতে গতিশীল, মানব সম্পদে ঐশ্বর্যমণ্ডিত, সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ ও মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে।

একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি, শিক্ষা কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন,  পরিবেশ ও জ্বালানি, অবকাঠামো ও স্থানীয় উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার কিছু কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না, শুধু গতানুগতিক রাজনৈতিক বক্তব্যের বাইরে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরতে চাই।

তিনি বলেন, ‘আন্তরিকভাবে চাইলে নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব যেখানে ক্ষুধা বা দারিদ্র্য থাকবে না। তবে এসব পরিকল্পনা তখনই বাস্তবায়ন হতে পারে যখন দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির প্রতি নিবেদিত সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত একটি সরকারের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হবে।

তারেক রহমান বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের ধারণা জনসংখ্যা বর্তমান হারে বাড়তে থাকলে আগামী ২৫ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। কমে যাবে কৃষি ও আবাসন জমির পরিমাণ। কোটি কোটি মানুষ বঞ্চিত হবে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা সুবিধা থেকে। ঘনীভূত হবে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঙ্কট। যোগাযোগ ও যানজট সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠবে। শিক্ষা উপকরণ এবং অব্যব্যবস্থাপনায় কমবে শিক্ষার হার। সঠিক কর্মসংস্থানের অভাবে শিক্ষিত বেকারের হার বাড়বে। দরিদ্র  জনগণ হয়ে উঠবে আরও দরিদ্র। ক্ষমতাধর দুর্নীতিবাজ ধনীরা হয়ে উঠবে আরও ধনী। সন্ত্রাস আচ্ছন্ন করে তুলবে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি অঙ্গনকে। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। বাড়তে থাকবে সামাজিক অস্থিতিশীলতা। চলতে থাকবে রাজনৈতিক অচলাবস্থা। সব মিলিয়ে ঘটতে পারে পরিস্থিতির অনাকাঙ্খিত ও নজিরবিহীন অবনতি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ যেভাবে চলছে তাতে এমনটিই হবে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। তবে ভবিষ্যৎ আমাদের নিজেদেরই হাতে। আমরা আশা করি এমন পরিস্থিতি হবে না। হলেও একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে আমরা গড়ে তুলবো একটি উৎপাদনশীল বাংলাদেশ, ইনশাল্লাহ।

তারেক রহমান বলেন, ‘পাবলিক সেক্টরের নানা অব্যবস্থাপনা ও অকার্যকারিতার মাঝেও দেশটা কিছু-কিছু ক্ষেত্রে ভালো করছে, তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেশের প্রাইভেট সেক্টরের। পাশাপাশি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দেশটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা। তাদের পরিশ্রম, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ আমাদের প্রতিনিয়ত আশান্বিত করে তোলে। সাধারণ মানুষের প্রেরণা নিয়ে এবং তাদের চেতনাকে অন্তরে ধারণ করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যদি উন্নয়ন উৎপাদনের রাজনীতি নিশ্চিত করা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।

তারেক রহমান তার কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে আরও বলেন, ‘দেশের আনাচে-কানাচে পরিকল্পনামাফিক গড়ে তোলা সম্ভব ছোট-খাট ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টি করা সম্ভব অর্ধকোটিরও বেশি কর্মক্ষেত্র। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিকাশে সরকারি সহায়তা বাড়াতে হবে। শহরগুলোর প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধার পাশাপশি গ্রামগুলোতেও আধুনিক জীবনের উপকরণ নিশ্চিত করা সম্ভব। তাতে করে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ পরিচিত হয়ে উঠবে উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে একটি উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার মডেল হিসেবে। তবে এর জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে।

তারেক বলেন, ‘দল-মত বিশ্বাস ও দর্শন যার-যার; কিন্তু দেশটা আমাদের সবার। দেশটা কারো একার নয়, কারো বাবার নয়, আমাদের সবার।

কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে তারেক রহমান সুস্পষ্টভাবে কিছু নীতিমালা তুলে ধরে বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও কৃষিকে একটি প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পে পরিণত করা এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, ‘কৃষি ভর্তুকি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কৃষিখাতের সব ভর্তুকি আমদানিকারক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে চলে না যায়।

শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন দূরে থাক দেশের তথাকথিত সরকার পাবলিক পরীক্ষাগুলোর আগের রাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিয়ে পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির তথাকথিত বিশ্বরেকর্ড গড়ে দেশীয় মেধার মানদণ্ডকে শুধু নষ্টই করছে না বরং আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিযোগিতায় দেশকে হাসির পাত্রে পরিণত করছে।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন। শিক্ষা ব্যবস্থাকে করতে হবে একাধারে আধুনিক, গণমুখী, কর্মমুখী ও প্রযুক্তিনির্ভর।

চাকরিতে কোটা প্রথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মেধাবীরাই পারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে। সেই মেধাবীদের সুযোগ করে দিতে সরকারি চাকরিতে কোটার হার সর্ব্বোচ্চ শতকরা পাঁচভাগে নামিয়ে আনা যেতে পারে।

শিল্প ও বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘গত ছয় বছরে বর্তমান অবৈধ সরকারের ভ্রান্তনীতি আর চাটুকারিতার রাজনীতির বলি হয়ে দেশের গার্মেন্টস আর শ্রম রপ্তানিতে ধ্স নেমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ পা দিয়েছে বিনিয়োগবিহীন প্রবৃদ্ধির ফাঁদে। দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ এখন শূন্যের কোঠায়। গত কয়েক বছরে বন্ধ হয়েছে একের পর এক শিল্প ও কল-কারখানা।

তিনি বলেন, ‘শ্রম, আবাসন, বিদ্যুৎ, বিপণন ও শিক্ষা এই পাঁচটি সুবিধার দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ কয়েকটি শিল্প পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে আরেকটি সাবমেরিন ক্যাবল বসানো দরকার, দরকার ইন্টারনেট স্পিড বাড়ানো, কমানো প্রয়োজন ব্যান্ডউইথ প্রাইস।

অপরিকল্পিত নগরায়ন সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের প্রধান দুটি শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আদলে মেট্রোপলিটন এরিয়া গড়ে তোলা সম্ভব। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর এই তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত হতে পারে ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়া এবং পুরো চট্টগ্রাম জেলাজুড়ে গঠিত হতে পারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান এরিয়া।

তারেক রহমান বলেন, ‘ঢাকার ওপর থেকে চাপ কমাতে চাকরি, শিক্ষা নিরাপত্তা ও অবকাঠামো এই চারটি বিষয় বিবেচনায় রেখে ঢাকার নিকটবর্তী জেলাগুলোয় কয়েকটি আধুনিক স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এমন ২০টি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্যাটেলাইট শহর তৈরি করে প্রতিটিতে বর্তমানে ঢাকায় বসবাসকারী পাঁচলাখ লোককে স্থানান্তর করা গেলে ঢাকার ওপর চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। তবে এইসব স্যাটেলাইট শহর এমনভাবে নির্মিত হতে হবে যাতে চাষযোগ্য জমি নষ্ট না হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ঘন্টায় ৬০ মাইল বেগে এমনভাবে রেল সংযোগ স্থাপন করার পরিকল্পনা করতে হবে যাতে রাজধানীর ৫০ থেকে ৬০ মাইল দূরত্বের জেলাগুলোতেও মাত্র এক ঘণ্টায় যাওয়া সম্ভব হয়।

 উপরের তারেক রহমানের চিন্তাশীল বক্তব্য শুনে আমার মত অনেকেরা আনন্দিত হবেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আমরা যেমন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুনে চোখ বন্ধ করে আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়েছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দেখলাম ডিজিটাল  বাংলাদেশের কথা শুনে আমরা নিজের ভোট দিবার অধিকার হারিয়ে ফেললাম।  

এখন তারেক রহমান আমাদেরকে স্বপ্ন দেখাচ্চছেন কিন্তু তিনি কি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন। তিনি দেশের মানুষের আধীকার আদায়ের কথা বলেন কিন্তু  কিন্তু নিজে বসে আছেন বিদেশে। আরামে দিন  কাটাচ্ছেন এর নিরীহ মানুষ গুলো পুলিশের গুলিতে নিজের প্রান হারাচ্ছেন। হাজার মানুষের বুকের  তাজা রক্তের বিনিময়ে যদি আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয় এবং বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসে তবে তিনি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এসে ক্ষমতায় বসবেন হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রেী। মুল কথা হল আমার ভাইয়ের রক্তের উপর দিয়ে তিনি ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু কেন ?

স্বপ্ন দেখা ভাল কিন্তু সেই স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করতে হবে আপনাকে। দেশের মানুষের মুক্তির কথা আপনি যখন বলবেন তখন মাটে গিয়ে আপনাকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হবে। এতে  আপনাকে জেলে যেথে হবে। নির্যাতিত হতে হবে তার পরে বাংলার মানুষের মুক্তি হবে। গনত্রন্ত পাবে এক নতুন ধারা। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে বাচাতে গিয়ে নিজের বুক পেতে দিবে। কিন্তু আপনাকে বাংলাদেশের মানুষের পাশে গিয়ে দাড়াতে হবে। 

লন্ডন আরামে বসে আপনি কখন বাংলাদেশের মানুষের অর্থনেতিক,গনত্রান্তিক মুক্তির কথা বলতে পারেন না এবং সেটা কখন সম্ভব নয় । 



মোঃ সাইদুর রহমান 
ফ্রিলান্স সাংবাদিক, অনলাইন একটিভিস্ট

Thursday, July 17, 2014

চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামীলীগ

নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর বীভৎস হত্যাকান্ড সহ কিছু অঘটনকে আপাত সামাল দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও বাস্তবে কঠিন সময়ের মুখোমুখি আওয়ামী লীগদলীয় সরকার। দলের একাধিক প্রবীণ নেতা ও সাবেক কয়েকজন আমলা মনে করেন, অবনতিশীল কিছু বিষয়ের দ্রুত সমাধান না করতে পারলে সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করা অথবা দীর্ঘ স্থায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতায় থাকা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এই বিজ্ঞজনরা বলছেন, বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলন সামাল দিতে সরকারের হয়তো তেমন বেগ পেতে হবে না; কিন্তু সরকারের জন্য তার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে দুর্নীতি, নিজের দলের বিশৃক্সখলা ও অর্থনৈতিক বিনিয়োগের স্থবিরতা।
রাজনৈতিক কাঠামো ও সরকারি প্রশাসনযন্ত্র উভয় ক্ষেত্রে লাগামছাড়া দুর্নীতির প্রকোপ, দলীয় নেতাকর্মীদের বেপরোয়া হয়ে বাণিজ্যে নেমে পড়া, ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অনৈক্য, বেসরকারি বিনিয়োগে আস্থাহীন
পরিবেশ দূর করতে না পারা, ব্যাংকের ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়া, মন্ত্রীদের কাজে গতিহীনতা, সাংসদদের ঘিরে সর্বত্র সুবিধাবাদী চক্রের উত্থান এবং দেশে কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাড়াবাড়ি ও লাগামহীন আচরণে সরকারের জনপ্রিয়তা হারানোর আশঙ্কা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে সরকারের জন্য বড় ধরনের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক বায়েজিদ সরকার উপস্থাপিত এক প্রবন্ধে সরকারের জন্য প্রধান যে দুটি আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করা হয়েছে তা হচ্ছে-রাজনৈতিক অনিশ্চতায় কোনো বিনিয়োগকারীর সাহস করে নতুন উদ্যোগে এগিয়ে না আসা এবং ব্যাংকিং খাতে হলমার্কের মতো কেলেঙ্কারির কারণে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর অতিমাত্রায় সতর্কতায় ঋণ প্রদান প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক ধারা সৃষ্টি হওয়া। দেশের অর্থনৈতিক খাতে এ দুটি বিষয়ই চরমভাবে নেতিবাচক।
বায়েজিদ সরকার তার প্রবন্ধে এই মর্মে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে, সরকারি বিনিয়োগে তেমন কোনো কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় না। দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে বেসরকারি বিনিয়োগ। কিন্তু বর্তমান সময়ে বেসরকারি বিনিয়োগের বেলায় এক ধরনের আস্থাহীনতায় ভুগছেন নতুন উদ্যোক্তারা। এই নতুন বিনিয়োগকারীরা এজন্য দায়ী করছেন রাজনৈতিক অস্থিরতাকে।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকঋণ সুবিধা একটি বড় ধরনের উপাদান। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হলমার্ক গ্রপের জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি তসরুপ করার ঘটনা ধরা পড়ার পর প্রায় সব ব্যাংকই ঋণ প্রদানে অতিমাত্রায় সতর্ক। তারা বড় আকারের ঋণ বিতরণের ঝুঁকি নিতে নারাজ। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন ঋণের তেমন প্রস্তাব আসছে না। বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঝুঁকি নেওয়ার চেয়ে নিজেদের চাকরিটাকেই বড় করে দেখছেন।
এ দুটি বিষয় সরকারকে গুরুত্ব সহকারে সমাধান করতে হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র একজন নেতা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত বিগত সরকারের আমলের একজন মন্ত্রী, দুই জন প্রতিমন্ত্রী ও সাতজন সংসদ সদস্য এখন অতিরিক্ত অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কাঠগড়ায়। দলীয় সরকারের এই মন্ত্রী-সাংসদদের দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ বিব্রত। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিজেদের লোক হওয়া সত্ত্বেও সরকার দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় কোনো নগ্ন হস্তক্ষেপ করেনি-এটা ভালো। আবার খারাপ দিক হচ্ছে বর্তমান সময়ের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীই চলছেন দুদকের জালে আটকা পড়া সাবেক মন্ত্রীদের মতোই। ইতোমধ্যে কয়েকজন মন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে তাদের দফতরের প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
সামগ্রিক দিক থেকে বলা যায় যে, যদিও সরকার বাইরে দেখাচ্ছে যে তারা খুব ভাল আছে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তা মনে হয় না। কারন সরকারকে যে বিষয় গুলো মোকাবেলা করে উটতে হবে তা সত্যি কি সরকার পারবে সেটা এখন গুরুত পূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইন শৃঙ্গলা চরম ভাবে অবনতি অর্থনৈতিক ভাবে সরকার হুমকির সম্মুখিল হচ্ছে দিনের পর দিন থেকে। বিদেশেী বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে উল্লেখ্যযোগ্য হারে। যা দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে মারাত্মক ভাবে।
সরকার যদি আইন শৃঙ্গলার উন্নতি, গ্রহনযোগ্য নির্বাচন, দুর্নীতি,দলের ভিতরের কুন্দল এবং বিদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে না পারে তাহলে দেশের অবস্থা ভয়ানক পরিস্তিতি দিকে অগ্রসর হবে বলে আমার মনে হয়।        


                                                                
                                                                       
                                                                          মোঃ সাইদুর রহমান 
                                                             

Sunday, July 13, 2014

বাংলাদেশকে কি ইসরাইল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন

উপরের ছবি দেখে আপনারা হয়ত বুজে গেছেন যে অনি কে। 
তিনি হলেন ততাকতিত তরুণ প্রজন্মের
আহংকার ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। কে না চিনে এই সবজান্তা, বিশিষ্ট বুঝদার মহিলা কে। যাকে কোন প্রশ্ন করলে সব প্রশ্নের উত্তরে জামায়াত-বিএনপি ও ইসলাম ধর্মকে টেনে অপমান করার চেস্টা করেন। তিনি সরকারের বিশেষ আস্থাভাজন। বাংলাদেশের প্রধান মন্তী শেখ হাসিনার অনুকম্পা প্রাপ্ত আদরে পাত্রী। শেখ হাসিনা পুত্র জয়ের বিশেষ ভালোবাসার একজন সহকারী। ইনি শাহবাগে জমায়েত হওয়া ধর্মদ্বেষী নেতৃ স্থানীয়দের অন্যতম উপদেষ্টা। অনি ওনার অনুসারীদেরকে বলে দেন হাজার আলেমের উস্তাদ যার ডাকে হাজার হাজার মানুষ বুকের তাজা রক্ত দিতে পারে,হেফাজতে ইসলামের আমির আলেমে দিন মাওলা শাফী সাহেব ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে কিভাবে রমনায় টেনে হিঁচড়ে রক্তাক্ত করতে হয়। তারপর উনারাই বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, টকশোতে বলেন এসব ইসলামী ব্যাক্তিরা হচ্ছেন "টেররিস্ট" যিনি কিনা একটি নামধারী ইসলামিক পরিবারে জন্য।

ব্যারিস্টার তানিয়া আমির মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে। ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর মাদ্রাসা ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিরুদ্ধে। তিনি মসজিদেরও বিরুদ্ধে। তিনি জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে জংগি কার্যক্রম হয় বলে তথ্য দেন। তিনি মাওলানা সাঈদী, আল্লামা শফি সহ তাবৎ আলেম উলামাদের গালি গালাজ করেন। তিনি মওদুদী, জাকির নায়িক, দেওবন্দি সবাইকে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী বলেন। তিনি শাহজালাল, শাহপরান, শাহমাখদুমের দেশে ইসলামের বিস্তার অপছন্দ করেন। অতচ যারা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এক টুকরা নয়নের মনি।

তিনি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মনে করেন না। তিনি জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী মনে করেন। তিনি বিএনপিকে প্রগতিশীল নয় বরং প্রতিক্রিয়াশীল মনে করেন। তিনি চেতনা ফিল্টারের অন্যতম একজন অবিষ্কারকও বটে।

কিন্তু মজার  বিষয় হল তিনি কখন স্বীকার করেন না যে তিনি একজন কট্টর পন্তী আওয়ামীলীগ। কিন্তু  সাধারনত একজন আওয়ামী'র যেসব বৈশিষ্ট্য থাকার কথা তার সবইতো উনার মধ্যে বিরাজমান।

সুরতাং চারিত্রিক গুনা গুন থেকে বলা যায় তিনি একজন আওয়ামীলীগ। ওনার আরও কিছু পরিচয় আছে  যা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করিতেছি।
ওনাকে চিনতে হলে আমাকে যেথে হবে কিছু দিন আগে মানে ২০০৯ সালে। সেটা হচ্ছে এই তানিয়া আমীর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে একুশে টেলিভিশনের টকশো "একুশের রাত" এ প্রকাশ্যে ইজরেল নামক অবৈধ সন্ত্রাসী রাস্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানান। সে রাষ্ট্র  প্রত্যেক দিন হাজার হাজার  নিরীহ মুসলমানদেরকে হত্যা করে চলছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর থেকে।

অবাক হয়েছেন বৈকি? না অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই হচ্ছে আমাদের দেশের কিছু সংখাক নামধারী দেশ প্রেমিকদের গল্প।


সময় এসেছে সকল রাজনীতির উপরে থেকে  দেশের জন্য সটীক মানুষকে নির্বাচন করা 

মোঃ সাইদুর রহমান 
ফ্রীলান্স সাংবাদিক