Sunday, July 13, 2014

বাংলাদেশকে কি ইসরাইল হওয়ার স্বপ্ন দেখেন

উপরের ছবি দেখে আপনারা হয়ত বুজে গেছেন যে অনি কে। 
তিনি হলেন ততাকতিত তরুণ প্রজন্মের
আহংকার ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। কে না চিনে এই সবজান্তা, বিশিষ্ট বুঝদার মহিলা কে। যাকে কোন প্রশ্ন করলে সব প্রশ্নের উত্তরে জামায়াত-বিএনপি ও ইসলাম ধর্মকে টেনে অপমান করার চেস্টা করেন। তিনি সরকারের বিশেষ আস্থাভাজন। বাংলাদেশের প্রধান মন্তী শেখ হাসিনার অনুকম্পা প্রাপ্ত আদরে পাত্রী। শেখ হাসিনা পুত্র জয়ের বিশেষ ভালোবাসার একজন সহকারী। ইনি শাহবাগে জমায়েত হওয়া ধর্মদ্বেষী নেতৃ স্থানীয়দের অন্যতম উপদেষ্টা। অনি ওনার অনুসারীদেরকে বলে দেন হাজার আলেমের উস্তাদ যার ডাকে হাজার হাজার মানুষ বুকের তাজা রক্ত দিতে পারে,হেফাজতে ইসলামের আমির আলেমে দিন মাওলা শাফী সাহেব ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে কিভাবে রমনায় টেনে হিঁচড়ে রক্তাক্ত করতে হয়। তারপর উনারাই বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, টকশোতে বলেন এসব ইসলামী ব্যাক্তিরা হচ্ছেন "টেররিস্ট" যিনি কিনা একটি নামধারী ইসলামিক পরিবারে জন্য।

ব্যারিস্টার তানিয়া আমির মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে। ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর মাদ্রাসা ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিরুদ্ধে। তিনি মসজিদেরও বিরুদ্ধে। তিনি জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে জংগি কার্যক্রম হয় বলে তথ্য দেন। তিনি মাওলানা সাঈদী, আল্লামা শফি সহ তাবৎ আলেম উলামাদের গালি গালাজ করেন। তিনি মওদুদী, জাকির নায়িক, দেওবন্দি সবাইকে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী বলেন। তিনি শাহজালাল, শাহপরান, শাহমাখদুমের দেশে ইসলামের বিস্তার অপছন্দ করেন। অতচ যারা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এক টুকরা নয়নের মনি।

তিনি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মনে করেন না। তিনি জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী মনে করেন। তিনি বিএনপিকে প্রগতিশীল নয় বরং প্রতিক্রিয়াশীল মনে করেন। তিনি চেতনা ফিল্টারের অন্যতম একজন অবিষ্কারকও বটে।

কিন্তু মজার  বিষয় হল তিনি কখন স্বীকার করেন না যে তিনি একজন কট্টর পন্তী আওয়ামীলীগ। কিন্তু  সাধারনত একজন আওয়ামী'র যেসব বৈশিষ্ট্য থাকার কথা তার সবইতো উনার মধ্যে বিরাজমান।

সুরতাং চারিত্রিক গুনা গুন থেকে বলা যায় তিনি একজন আওয়ামীলীগ। ওনার আরও কিছু পরিচয় আছে  যা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করিতেছি।
ওনাকে চিনতে হলে আমাকে যেথে হবে কিছু দিন আগে মানে ২০০৯ সালে। সেটা হচ্ছে এই তানিয়া আমীর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে একুশে টেলিভিশনের টকশো "একুশের রাত" এ প্রকাশ্যে ইজরেল নামক অবৈধ সন্ত্রাসী রাস্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানান। সে রাষ্ট্র  প্রত্যেক দিন হাজার হাজার  নিরীহ মুসলমানদেরকে হত্যা করে চলছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর থেকে।

অবাক হয়েছেন বৈকি? না অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই হচ্ছে আমাদের দেশের কিছু সংখাক নামধারী দেশ প্রেমিকদের গল্প।


সময় এসেছে সকল রাজনীতির উপরে থেকে  দেশের জন্য সটীক মানুষকে নির্বাচন করা 

মোঃ সাইদুর রহমান 
ফ্রীলান্স সাংবাদিক    


Saturday, July 12, 2014

তুমার বাবা তুমার জন্য খেলনা ক্রয় করে নিয়ে এসেছে যাহা তুমি ছেয়েছিলে। তুমি উঠ।

তুমার বাবা তুমার জন্য খেলনা ক্রয় করে নিয়ে এসেছে যাহা তুমি ছেয়েছিলে। তুমি উঠ।

এই ভাবে এক বাবা তার সন্তানের জন্য আর্তনাত করতেছে  

Hear a fathers grief, in disbelief he screams.......

"Your father bought you the toy you wanted, wake up, I bought you the toy you wanted"

18 + adults only-child martyr Saher Salman Abu Namous, impact targeting from an Israeli aircraft which fired a missile at his house in the Al-Sikka Street in Eastern Jabalya refugee camp in northern Gaza Strip.

১০ টাকা কেজি চালের অপেক্ষা

বাংলাদেশের মানুষ বড় দয়ালু। কেম আমি দয়ালু বললাম তার কিছু বাস্তব সম্মত কারন আমি আপনাদের সামনে  তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করব। শুরু করা যাক এরশাদ সরকার দিয়ে। এরশাদ এমন একজন বাক্তি যিনি বাংলাদেশের গনত্রন্তকে বারবার ধ্বংস করে দিয়াছিলেন।গনত্রন্তের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সইরাত্রান্ত। অনেক চেষ্টা করেছিলেন সারা জীবন ক্ষমতায় থাকতে কিন্তু জনগন সে আশা পুরন করতে দেই নি।  কিন্তু পরিবর্তিতে আমরা দেখলাম যে জনগন ওনাকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়াছিল আবার সেই জনগন ওনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাহলে কি লাভ হল আন্দোলন করে এরশাদকে পতন ঘটাবার।

পরিবর্তিতে আমরা বিএনপির দুইবারের সরকার দেখেছি আবার আওয়ামীলীগের সরকারের কার্যকলাপ দেখতেছি। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জনগন তাদের আধীকার আদায়ের জন্য বিএনপি ক্কমতায় বসিয়েছিল কিন্তু ১/১১ সরকারের সময় আমরা কি দেখলাম, দেখলাম কি ভাবে  দেশ তাকে লুটিয়ে খেয়েছিল সেই সরকারের নেতা নেত্রিরা। রাজনিতিক বাক্তিরা জনগনের আধীকার আদায়ের পরিবর্তে নিজেদের আধীকার আদায়ের ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ছিল।    

তারপরে যখন আওয়ামীলীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা আমাদেরকে শুনানো হল। আমরা ভুলে গেলাম আওয়ামীলীগের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের কার্যকলাপ। আমরা ভুলে গেলাম কিভাবে বায়তুল মুকারম মসজিদের উপর পুলিশ দ্বারা সরকার নিরীহ মুসল্লিদের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল। কি রকম দুর্নীতির পাহাড় গড়েছিল সেই সময়ের রাজনিতিক নেতারা। আমাদেরকে যখন বলা হল ১০ টাকায় চাল দিব ঘরে ঘরে চাকরী দিব ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব। এই সমস্ত স্বপনের কথা শুনে ঘুমের ঘরে চুখ বন্ধ করে আমরা ভোট দিলাম আওয়ামীলীগকে। কিন্তু কি পেলাম আমরা।
রাজনিতিক বাক্তিরা  মাচ চাষ করে কোটি কোটি টাকার মালিক বলে গেল আর আমরা সেই ১০ টাকা কেজি চালের অপেক্ষায় রয়ে গেলাম।
যে  গনত্রনের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে আওয়ামীলীগ সরকার ভোট নিয়ে গেল ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আজ আমরা সেই ভোটের আধীকার হারালাম। ঘরে ঘরে চাকরী দেওয়ার পরিবর্তে ঘরে ঘরে লাশ, গুম, হত্যা পেলাম।   
এখন আলোচনা করা যাক কি ভাবে আমরা এই দুই দলের মধ্যে থেকে রেহাই পেথে পারি এবং কি রকম জনগনের রাজনীতি বাস্তবায়ন করতে পারি। 

আদর্শের রাজনীতি তো এখন সময়ের দাবি। জনগণও এমন রাজনীতি চায়। কিন্তু এমন পরিবর্তনের সূচনা কিভাবে হবে? ভিন্নগ্রহ থেকে কেউ এসে তো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করবেন না। ভিনদেশের কেউ এসে আমাদের রাজনীতির উপর ছড়ি ঘোরাবেন তাও আমরা চাই না। আমাদের কাজ আসলে আমাদেরই করতে হবে। কালান্তরের এই সময়ে নেতানেত্রীদের ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে কিছু বিষয়ে জনগণের শক্ত ভূমিকা প্রয়োজন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মোনাফেকির সাথে জড়িত কাউকেই নেতৃত্বের আসনে বসানো যাবে না। দল, মত, অঞ্চল এক্ষেত্রে যেন প্রশ্রয়ের ভূমিকা পালন না করে। রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতার বদলে যারা দমন-পীড়ন ও আতঙ্ক ছড়াবে তাদের সুস্পষ্টভাবে নাবলতে হবে। আর কোনো প্রলোভনের কাছে মাথা নত না করার শপথও নিতে হবে জনগণকে। নেতানেত্রীদের ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে কালান্তরের সময় এভাবেই ভূমিকা পালন করতে হয় স্বাধীন দেশের সাহসী জনগণকে। নেতানেত্রীরা ব্যর্থ হলে তো জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা পড়ে যায় হুমকির মুখে। জাতীয় স্বার্থে কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনগণকেই তখন যৌক্তিক পরিবেশ সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হয়। এমন পরিবেশে পথহারা নেতারা পথ খুঁজে পেতে পারেন কিংবা সৃষ্টি হতে পারে নতুন নেতৃত্বও। আর এ কথাও নিশ্চিত করে বলা যায় যে, গণজাগরণের এমন বাতাবরণে ফরমালিন-নেতাদের পরাজয় অনিবার্য। তেমন সুদিনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে জাতি।

মোঃ সাইদুর রাহমান 

Wednesday, July 9, 2014

সমুদ্র জয় না, মন জয়

ভারতের সাথে সমুদ্র সীমা মামলার রায় গত কাল সকালেই বাংলাদেশের হাতে পৌঁছে গেছে। ২৪ ঘন্টা প্রায় পার হতে চললেও সেই রায় নিয়ে এখনো কিছু বলছে না সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর কারণ হচ্ছে সত্যিকার অর্থে এই রায়ে আসলে কিছু নেই। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার আগেই বহুদিন ধরে বাংলাদেশের দাবি করে আসা ১৮ টির মধ্যে ১১ টি ব্লক ভারতকে দিয়ে দেয়। অর্থাৎ মামলার আগেই ভারতকে ১১ টা ব্লক দিয়ে দেয়া হয়। মামলা সাজানো হয় মাত্র সাতটা ব্লক নিয়ে। মামলার নথি থেকে অত্যন্ত গোপনে ১১ টি ব্লক বাদ দেয়া হয়। These blocks are - SS-01, SS-05, DS-09, DS-10, DS-11, DS-14, DS-15, DS-19, DS-20, DS-24 and DS-25. এগুলো প্রায় সবগুলোই তেল-গ্যাস সমৃদ্ধ মূল ব্লক। বাংলাদেশের ২০০৮ সালের দাবি থেকে গোপনে এসব ব্লক সরিয়ে মামলা করা হয়। মামলার আগেই এসব ব্লক ভারত পেয়ে যায়। কাজেই সমুদ্র সীমা মামলায় আসলে তেমন কিছুই আর নেই।
সূত্রগুলো জানাচ্ছে ভারতীয় বিচারকের আদালত থেকে আসা রায়ে বাংলাদেশের কৌশলগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সমুদ্র সীমার ক্ষেত্রে। কিন্তু সেই বিষয় ধামাচাপা দিয়ে তথাকথিত 'সমুদ্র জয়' নামক নাটকের প্রস্তুতি কিভাবে নেয়া যায়, সেজন্যই রায় প্রকাশে দেরি হচ্ছে। তাছাড়া সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সম্পূর্ন রায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেয়া হবে না এখন। আওয়ামী মিডিয়াগুলোকে বলা হয়েছে, রায়ের কোন টেকনিকাল বিশ্লেষণ না ছাপতে অথবা না প্রকাশ করতে। তার বদলে 'সমুদ্র জয়' নামক শব্দগুচ্ছ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বিবদমান একটি পক্ষ ভারত হলেও নজিরবিহীনভাবে এই মামলা ভারতীয় এক বিচারকের কাছেই দেয়া হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে দীপু মণি আন্তর্জাতিক আদালতে বিশেষ আবেদনের মাধ্যমে এই কাজ করে।
এখন  প্রশ্ন হতে পারে কি লাভ হল বাংলাদেশে কিন্তু অনেক লাভ হয়ে গেছে শেখ হাসিনার।  

আমরা জানি যে, যে জায়গা ভারত পেল সেটা কখন ভারতের ছিল না কিন্তু ঐ যে বলা হয় না বোকার ধনের উপর জ্ঞানীর অধীকার আছে। সেটা ঘটল এক্ষণ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।   

কংগ্রেসেকে হারানোর পর শেখ হাসিনা যে ভাবে বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন কারন যাদের আস্রয়ে পস্রয়ে তিনি এতদিন থেকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রয়েছিলেন। কিন্তু মুধী সরকার আসার পর তার মন পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের গুরুত পূর্ব বিশাল অংশ সমুদ্র তিনি চেড়ে দিলেন।
তাই আমার মনে হয়  যে রায়টি হল তাতে সমদ্র জয়ের পরিবর্তে মুধী সরকারে মনকে জয় করাটা  প্রাধান্য পেয়েছে।

    

Saturday, July 5, 2014

দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল


যখন আমি অনেক আশা নিয়ে নতুন কিছু দেখব নতুন কিছু শিখব বলে  টিভির সামনে হাতে রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে বসি সংসদ অধিবেশন দেখার জন্য তখন মনের অজান্তে একটি কথা মনে পড়ে যায়। যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমাদের শিক্ষক একটা ভাব সম্প্রসারন পড়াতেন। নাম ছিল দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। এখন এই কথাটি বারবার মনে পড়ে যখন দেখি আমাদের দেশের সরকার দল এবং অনেকে বলে গৃহপালিত বিরুধী দল সংসদে বসে।

সংসদের অধিবেশন চলাকালে অধিবেশন কক্ষে সংসদ সদস্যদের আচরণ কি হবে তা স্পষ্ট করা আছে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে। এতে সংসদ সদস্যদের জন্য পালনীয় ১১টি নির্দেশনা রয়েছে। এসব নির্দেশনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই নবীন সদস্যদের। অন্যদিকে জেষ্ঠ্য সদস্যরাও প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন।

আচরণবিধির (৩) নম্বর ধারায় রয়েছে, ‘সংসদের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোনো বই, সংবাদপত্র বা চিঠিপত্র পাঠ করিবেন না।
অধিবেশন কক্ষে প্রায় প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতায় চোখ বোলাতে থাকেন সরকার দলীয় জেষ্ঠ্য সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।

অধিবেশন কক্ষে ঘুমানোর অভিযোগে ইতোমধ্যে আসন পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের। ট্রেজারি বেঞ্চের প্রথম সারি থেকে সরিয়ে দ্বিতীয় সারিতে দেয়া হলেও তার ঘুম কাটছে না। একই অভিযোগ রয়েছে আরেক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও সাবেক শ্রমপ্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের বিরুদ্ধে।

আচরণবিধির (৮) নম্বর ধারায় সংসদে বক্তৃতা ব্যতিরেকে নীরবতা পালনের নির্দেশ দেয়া হলেও কেউই তা মানেন না। সময় পেলেই দুই-তিনজন সদস্য এক জায়গায় বসে আড্ডায় মেতে উঠেন। কখনো কখনো নিজেদের মধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
চলতি অধিবেশনে একদিন কক্ষের অভ্যন্তরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বরগুনা-১ আসনের সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। পরে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এসে শম্ভুকে শান্ত করেন। এর আগে চিফ হুইপ বার্তা পাঠিয়েও তাদের থামাতে ব্যর্থ হন।

(৪) নম্বর ধারায় সভাপতি ও বক্তৃতারত সদস্যের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আছে। কিন্তু বেশ কয়েকজন সদস্য এ আচরণবিধি মানেন না। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও স্বতন্ত্র সদস্যদের জোট সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

আচরণবিধির (১) নম্বর ধারায় সংসদে প্রবেশ করার বা সংসদ কক্ষ ত্যাগ করার সময় এবং তার আসন গ্রহণ বা ত্যাগ করার সময়ে সভাপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে।
কিন্তু অনেক সদস্য সংসদ কক্ষ ত্যাগ করার সময় ফ্রি স্টাইলে চলাচল করেন। অনেকে আবার পশ্চাতদেশ প্রদর্শন করে বেরিয়ে যান।

একজন আরেকজনের চেয়ারে বসা নিষেধ থাকলেও কখনোই ফাঁকা থাকে না জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আসনটি। তার অনুপস্থিতিতে দলের জেষ্ঠ্য সদস্যদের অনেকেই ওই চেয়ারে বসে থাকেন। অন্য সদস্যদের চেয়ার নিয়েও এ ঘটনা হরহামেশাই ঘটে থাকে।
একজন অন্যজনের চেয়ারে বসার ঘটনায় স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী নবম সংসদের সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এবার চুপচাপ। বাকি অন্যান্য আচরণবিধি ভঙের বিষয়টি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।

কয়েক দিন আগে দেখলাম পানি নিয়ে কাড়াকাড়ি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অনেকে বলে গৃহপালিত বিরুধী দলের নেতৃর মধ্যে। বিষয় হল যে কে বিদেশি পানি পান করেন আমার কে দেশি পান করেন। যে সংসদে জাতীর আগামী দিনের পরিকল্পনা তৈরি করা হবে কিন্তু সেটা না করে সেখানে পানি নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করে দিয়েছেন দুই নেত্রী ।

গত কয়েক দিন আগে দেখলাম সাবেক পদ বিহীন মন্তী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত খুব আক্ষেপ করে বললেন যে, বাজেট অধিবেশনে কিসের উপর আলোচনা ও বক্তিতা রাখব যেখানে যিনি বাজেট পেশ করলেন তিনি সংসদে উপস্তিত নাই। এই হচ্ছে আমাদের সংসদ আর সংসদ সদস্যরা।
পরিশেষে একটি কথা বলে শেষ করব। আমাদের দেশের যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন তাদের মান মর্যাদা একটু বেশি বেড়ে গেছে সংসদ সদস্য হওয়ার পর । তাই তারা সব জায়গায় এবং সব অনুস্তানে যাওয়া সম্ভব হবে না সামাজিক মান মর্যাদার কথা চিন্তা করে।  তবে তাদের জন্য এই সংসদ একটি সুবর্ণ সুযোগ। 

একটু পরিষ্কার করে বললে আমাদের বুজে আসবে। আমাদের সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের মান মর্যাদার জন্য বাউল সম্রাট মমতাজের  পালা গান যাত্রায় গিয়ে দেখা সম্ভব হবে না। তাই তাদের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ যে সংসদের ভিতরে মমতাজের যাত্রা গান শুনতে পারবেন।
গত কয়েকদিন আগে সংসদের ভিতরে মমতাজের কনসার্ট দেখে অনেক ভাল লাগব। বাংলাদেশের সংসদের এই যেন এক নতুন মাত্রা যোগ হল।

কষ্ট লাগে এই জন্য যে,জনগনের ট্যাক্সের টাকায় air-condition রুমের মধ্যে বসে জাতীর সামনে তামাশা করা হচ্ছে বিনা ভোটে জয়ী সংসদ সদস্যরা।

তাই আমার কাছে মনে হয় যে, ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল’  

Friday, July 4, 2014

ব্রাজিল আর্জেন্টিনা না, আমি বাংলাদেশের সাপোর্টার

গত কয়েক দিন থেকে ওয়ার্ল্ড কাপ দেখতেছি। দেখতেছি সংবাদ পত্রে বিভিন্ন সংবাদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে অনেক আলোচনা সমালোচনা তর্ক বিতক।

প্রথমে একটু আলোচনা করি সংবাদ মাধ্যম গুলো নিয়ে, বিশ্ব কাপ শুরু হওয়ার অনেক দিন পূের্ব  থেকে আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যম গুলো বিভন্ন রকম সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। কোন দল কি পরিকল্পনা করছে। কোন দল কোন দেশ থেকে জার্সি নিচ্ছে। কার প্রেমিকা কার সাথে ঘুরছে। কার প্রেমিকা কোথায় আছে। কার লাইফ স্টাইল কি ধরনের। কথার খাতিরে মেনে নিলাম যে কিছু সংবাদ প্রচার করা দরকার যা পড়ে অনেক কিছু জানা যায়। কিন্তু ফুটবলারদের প্রেমিকা কে, সে কি খাবার পছন্দ করে, কি কাপড় পচন্দ করে, কবে কোথায় তাদের দেখা হল, কার সন্তান কয়টা ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমার কথা শুনে আপনাদের কাছে একটু অভাক হতে পারেন কিন্তু চিন্তা করেন যেমন আমরা মেসি খেলা দেখতে পচন্দ করি তাই তার খেলা দেখি কিন্তু তার প্রেমিকা কি করে, কি খায়, কি কাপড় পড়ে সেটা  আমাদের জানা কি খুব দরকারি।আমাদেরকে কি সংবাদ প্রচার করার উচিত ছিল না আমাদের নিজেদের ফুটবল নিয়ে। কিভাবে আমাদের ফুটবল কে উন্নয়ন করা যায়। আমি মনে করি এখনি সময় ফুটবল নিয়ে আলোচনা করার কারন এখন বাংলাদেশের তথা পৃথিবীর সবার নজর ফুটবলের দিকে। কিত্নু বাস্তব হলে সত্য যে আমাদের দেশের সংবাদ পত্র গুলো নিজের দেশের ফুটবল উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে ভাবে প্রচার করার কথা ছিল আমার মনে হয় সেটা করতে বার্থ হচ্ছে।

যারা ভিন্ন দেশের সাপোর্টার তাদের কাছে আমার কিছু  প্রশ্ন
এটা খুব ভাল যে বাংলাদেশের  ফুটবলের প্রতি আপনাদের ভালবাসা না থাকতে পারে কিন্তু ভিন্ন  দেশের প্রতি আপনাদের ভালবাসা টিকই আছে। লজ্জা লাগে যখন দেখি অন্য দেশের পতাকা নিয়ে আমরা বাস্ত থাকি কোথায় সে পতাকা উড়ানো যায়। কার পতাকা কত লম্বা। আচ্চা আপনিত আর্জেন্টিনা ব্রাজিল জার্মান নিয়ে এত পাগল তাহলে আমার নিচের কিছু  প্রশ্নের উত্তর কি আপনারা  দিতে পারবেন।
১। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের নাম কি বলতে পারেন ?
২। বাংলাদেশ দলের আধিনায়কের নাম কি জানেন ?
৩। বাংলাদেশ দলের দুজন  স্ট্রাইকারের নাম কি বলতে পারবেন ?
এই  রকম অনেক প্রস্ন আমি আপনাদেরকে করতে পারব কিন্তু আমি জানি আপনারা এমনকি আমি নিজেও উত্তর  দিতে পারব না।


আমার কথা  হচ্ছে বিশ্বকাপে আমরা  ভিন্ন দেশ সাপোর্ট করেতে পারি সেটা কোন সমস্যা না কিন্তু এখন কি উপযুক্ত সময় নয় কি একবার হলে চিন্তা করার, কিছু লেখার, কিছু কথা বলার আমাদের দেশের ফুটবল নিয়ে। আমরা কি সারা জীবন আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের খেলা দেখে শান্তি পাব না নিজের  দেশকে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলের পাশের খেলতে দেখতে শান্তি পাব। সিদান্ত আমাদেরকে নিয়ে হয়ে। 


MD SAIDUR RAHMAN 
FREELANCE JOURNALIST & ONLINE ACTIVISTS